ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

নায়াগ্রা জলপ্রপাতে কয়েক ঘণ্টা

ভ্রমণ

নায়াগ্রা জলপ্রপাতে কয়েক ঘণ্টা

কেয়া পায়েল। ছবি: ফেসবুক

কেয়া পায়েল

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭:০২ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪ | ১৭:৫২

ঘুরতে আমার বেশ ভালো লাগে। এ কারণে সময় সুযোগ পেলেই ছুটে যাই দেশের বাইরে। সম্প্রতি গিয়েছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানকার আইকনিক জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছি। এবার শুটিংয়ের জন্যই দেশের বাইরে যাওয়া। তিনটি নাটকের শুটিং করেছি। শুটিংয়ের ফাঁকে ঘুরে বেড়ানো হয়েছে। একটানা কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম।

মন চাইছিল এ রকম একটা ট্যুর দেওয়ার। এর মধ্যে শুটিংয়ের প্রস্তাব চলে আসে। অনেক জায়গায় ঘোরার সুযোগ হয়েছে। তবে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের কথা না বললেই নয়। নায়াগ্রার সৌন্দর্য যেন মহাবিস্ময়। সূর্যোদয়ের সময় তার এক রূপ, দুপুরে প্রখর সূর্যের আলোয় অন্য রূপ, গোধূলি লগ্নে আরেক রূপ; আর রাতে যখন চারদিকে আলো জ্বলে ওঠে তখন এ যেন স্বপ্নপুরী।

নায়াগ্রার সব সময়ের সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ হয়নি। তবে বেশ কয়েক ঘণ্টা আনন্দময় কাটিয়েছি সেখানে। বিস্ময়জাগানিয়া সেই জলপ্রপাত যেন প্রকৃতির এক অপরূপ সৃষ্টি! পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জলপ্রপাতের টানে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায় কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সীমানায়।

যুক্তরাষ্ট্রের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নায়াগ্রা পতিত হয়েছে কানাডায়। ফলে কানাডা থেকে এর সৌন্দর্য অবাক করার মতো। পৃথিবীতে এমন অনেক কিছু আছে, যা আমাদের অবাক করে। নায়াগ্রা জলপ্রপাত তার মধ্যে একটি; যা প্রকৃতিপিপাসু পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। এখানে গেলে মনে হতে পারে পৃথিবীর সব পানির মোহনা বুঝি এটিই। নায়াগ্রা দেখলে অবাক হতে হয়। জানতে ইচ্ছে করে অপরূপ সৃষ্টির ইতিহাস ও ঐতিহ্য। জানি এসব অজানা থেকে যাবে।

নায়াগ্রা জলপ্রপাতকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বড় বড় দালান, হোটেল-মোটেল, রেস্টুরেন্ট। বিনোদনের জন্য রয়েছে কুইন্স ভিক্টোরিয়া পার্ক, ক্যাসিনো, গলফ ক্লাব, নায়াগ্রা হিস্টরিকাল সোসাইটি, মিউজিয়াম, আর্ট গ্যালারি, নায়াগ্রা অ্যাকুয়ারিয়াম ও জিওলজিক্যাল মিউজিয়াম। রয়েছে বড় বড় শপিংমলও। সেখানে টুকটাক কেনাকাটাও করেছি। এ জলপ্রপাত দেখতে কোনো টাকা গুনতে হয় না। তবে ছোট জাহাজে চড়ে জলপ্রপাতের কাছে পৌঁছাতে খরচ করতে হয়।

এ ছাড়া অবজারভেশন এলাকা থেকে নায়াগ্রা দেখতে সামান্য কিছু ডলার খরচ হবে। সপরিবারে নায়াগ্রা দেখতে এসেছেন এমন অনেকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ছবিও তুলেছি। জলপ্রপাতের পাশে গেলে দেখা যায় প্রতি মিনিটেই একবার করে বৃষ্টি হচ্ছে।

নায়াগ্রা থেকে নিচে পানিপ্রবাহের কারণে বারবার মেঘের মতো আবহ সৃষ্টি হয়, যা পর্যটকদের ভিজিয়ে দেয়। সেসব দৃশ্য এখনও চোখে লেগে আছে। প্রথমবার নায়াগ্রা দেখতে গিয়েছি বলে বেশ আনন্দ পেয়েছি। সুন্দর জায়গায় গেলে এমনিতেই মন ভালো হয়ে যায়। সব মিলিয়ে ভালো অভিজ্ঞতা নিয়ে দেশে ফিরেছি।

আরও পড়ুন

×