‘রেড সি’ ঘিরে উৎসবের আমেজ

সৌদি আরবের বন্দর নগরী জেদ্দা। এই নগরীর অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান আল বালাদ, যা প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাস বুকে ধারণ করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এখানেই গত চার বছর ধরে হচ্ছে রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, যেখানে মিলিত হয়েছেন বিনোদন দুনিয়ার বড় বড় তারকারা।  

গত ৫ ডিসেম্বর বসেছে উৎসবের চতুর্থ আসর। চলবে আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই আয়োজনে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের সিনেমা স্থান পেয়েছে, যা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য বিশাল আনন্দের উপলক্ষ।

এই উৎসব জেদ্দা শহরে কতটা আমেজ ছড়িয়েছে তা জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে হাজির হয়েই বোঝা যায়। বিদেশ থেকে আসা অতিথিদের জন্য টার্মিনালের ভেতরে স্থাপন করা হয়েছে অভ্যর্থনা ডেস্ক। উদ্দেশ্য অতিথিদের বিশেষ ব্যবস্থায় ইমিগ্রেশন শেষ করা। এরপর দ্রুত লাগেজ হাতে পাওয়ার জন্য ফ্লোরে রেড সি উৎসবের সাইন দিয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সামনে এগোনোর জন্য। পরিচয় দিতেই কুশল বিনিময় করে অতিথি লাউঞ্জে। সেখান আলাপ শেষে সোজা হোটেলে।

রেড সির মূল ভেন্যু। ছবি: সমকাল

এই আয়োজনের লাল গালিচায় ইতোমধ্যে আলো ছড়িয়েছেন ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’ তারকা ভিন ডিজেল, মিশেল রড্রিগেজ, অস্কারজয়ী আমেরিকান অভিনেতা উইল স্মিথ, অস্কারজয়ী মালয়েশিয়ান অভিনেত্রী মিশেল ইয়ো, অস্কার মনোনীত ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমিলি ব্লান্ট, অস্কারজয়ী আমেরিকান ফিল্মমেকার ও চিত্রনাট্যকার স্পাইক লি, বলিউডের আমির খান, কারিনা কাপুরসহ অনেকে।

কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আদলে সাজানো হয়েছে পুরো এলাকা। বিশ্বের নানা দেশের সিনেমা সংশ্লিষ্ট ৮০টির বেশি স্টল বসেছে ফ্যাস্টিভ্যালে। প্রতিটি স্টল তাদের নিজ নিজ দেশের সিনেমার নানা দিক নিয়ে প্রচারণা করছে দর্শণার্থীদের কাছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশের কোনো স্টল বসেনি।

অতিথি সারিতে (বাঁ থেকে) রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশনের চেয়ারওম্যান জমানা আল রশিদ, এমিলি ব্লান্ট, সিনথিয়া এরিভো ও মোনা জাকি। ছবি: সমকাল

রোববার লাল গালিচায় হাঁটার কথা রয়েছে বলিউড তারকা রণবীর কাপুর এবং বাংলাদেশের মেহজাবীন চৌধুরীর। মাকাসুদুর রহমান পরিচালিত ‘সাবা’ নিয়ে এই আয়োজনে হাজির হয়েছেন মেহজাবীন। এটি তার অভিনীত প্রথম সিনেমা। এ দিনই তার সিনেমা প্রদর্শিত হবে। সিনেমা শেষে কনফারেন্স রুমে সময় দেবেন বাংলাদেশি এই তারকা। 

এবারের উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন ড্যানিয়েল রহমে ও হাকিম জামা এবং পরিচালনা করেন জোমানা আল-রশিদ, রেড সি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আসেরি, রেড সি ফিল্ম ফাউন্ডেশনের সিইও এবং শিভানি পান্ডিয়া মালহোত্রা। উৎসবে ৮৫ দেশের ৪৯ ভাষার ১২২টি সিনেমা প্রদর্শন হবে।