ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পাপিয়া সারোয়ারের দাফন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানাল পরিবার

পাপিয়া সারোয়ারের দাফন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানাল পরিবার

পাপিয়া সারোয়ার

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৫:৪৩ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৬:০৯

রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে তার বাবা সৈয়দ বজলুর রহমানের কবরে সমাহিত করা হবে। শুক্রবার বাদ জুমা যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁকে বনানীতে বাবার কবরে সমাহিত করা হবে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

শিল্পীর স্বামী সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার এবং পাপিয়ার পরিবারের অনেককে বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। তাই আমাদের পারিবারিক সিদ্ধান্তে পাপিয়াকে বনানী কবরস্থানে তার বাবার কবরে সমাহিত করা হবে।’

তিনি জানান, পাপিয়া সারোয়ারের মরদেহ বেলা একটায় ধানমন্ডি ২৮ নম্বরের বাসায় নেওয়া হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন পাপিয়া। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালের ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র–অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে তিনি বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে ভর্তি হন। ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্র গানের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা তিনি পেয়েছেন। আধুনিক গানেও আছে তার সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।

পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।

আরও পড়ুন

×