ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই

‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় আর নেই

প্রতুল মুখোপাধ্যায়

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩:১১ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩:৫৪

বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেলেন বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। ৮৩ বছর বয়সী এই সংগীতশিল্পী মৃত্যুর আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন।

চলতি বছরের শুরুতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন প্রতুল। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রোপচারের পর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে ওঠে। গত সোমবার রাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। 

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্ম প্রতুলের। বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। মা বাণী মুখোপাধ্যায় ও প্রতুলকে নিয়ে দেশভাগের পর তিনি ওপার বাংলায় চলে যান। থাকতে শুরু করে চুঁচুড়ায়। অল্প বয়স থেকে কবিতায় সুর দিতেন প্রতুল। কবি মঙ্গলচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতা দিয়ে শুরু।

প্রতুল নিজেও গান লিখতেন, অথচ প্রথাগত সঙ্গীতশিক্ষা ছিল না। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও চিকিৎসকদের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ শোনান তিনি। তবে এই একটিই  নয়, প্রতুল অনেক জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা। 

তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮)। তবে সেটি একক অ্যালবাম নয়। ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত ‘যেতে হবে’ প্রতুলের প্রথম একক অ্যালবাম, আর শেষ অ্যালবাম ‘ভোর’ (২০২২)। এই অ্যালবামে সংকলিত হয়েছে তাঁর অপ্রকাশিত গানগুলো।

‘আমি বাংলায় গান গাই’ ছাড়াও তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে ‘আলু বেচো’, ‘ছোকরা চাঁদ’, ‘তোমার কি কোনও তুলনা হয়’, ‘সেই মেয়েটি’, ‘ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ’ ইত্যাদি। নিজের গানে বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার কখনওই পছন্দ করেননি তিনি। কিন্তু তাঁর গাওয়া গান মগ্ন করে রাখত শ্রোতাকে।

আরও পড়ুন

×