ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

'করোনার পর শিল্পী ও শিল্পের গুরুত্ব বাড়বে'

'করোনার পর শিল্পী ও শিল্পের গুরুত্ব বাড়বে'

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২০ | ০১:১৪

রাহুল আনন্দ। কণ্ঠশিল্পী ও সংগীতায়োজক। সম্প্রতি 'পাতা কাহিনি' শিরোনামে নতুন গান গেয়েছেন তিনি। এটি প্রকাশ পেয়েছে তার দল 'জলের গান'-এর ইউটিউব চ্যানেলে। এ গান ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে-

'পাতা কাহিনি' গান নিয়ে আপনার ভাবনার কথা...

গানটি গাইবার সময় বিচ্ছিন্নভাবে তেমন কোনো ভাবনা ছিল না। আমরা যারা জলের গানের সঙ্গে আছি, তারা কাজের মধ্য দিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে থাকার চেষ্টা করি। প্রকৃতি আর জীবন আমাদের সৃষ্টির প্রধান উপকরণ। সুমন কুমার দাসের লেখা 'পাতা কাহিনি' তেমনই একটি গান, যেখানে জলের অন্যান্য গানের মতো গল্প বলার সুযোগ আছে। যদিও তা করা হয়েছে রূপকের আড়ালে; কিন্তু শ্রোতারা বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন। সব মিলিয়ে গানটি অনেকদিন সংগীত পিপাসুদের মনে অনুরণন তুলে যাবে- এটাই আমাদের ধারণা।

সামনে নতুন কোনো গান প্রকাশের পরিকল্পনা আছে?

কয়েকটি গান কিছু দিনের মধ্যেই রেকর্ড করব। সেগুলোর কথা, সুর, সংগীতায়োজন নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। এই করতে করতে যখন মনে হবে হ্যাঁ, এখন কথা, সুর, সংগীতায়োজন প্রত্যাশামাফিক হয়েছে, তখন রেকর্ডের জন্য স্টুডিওতে ঢুকব।

এখন কী তাহলে গৃহবন্দি সময়ের গান নিয়েই আপনার ব্যস্ততা?

ঠিক তা নয়, বাসার কাজ করছি। নতুন কিছু রান্নার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি অনলাইনে কিছু অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছি। গানের বাইরে এগুলোও তো কাজ।

করোনায় সরাসরি গানের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিল্পীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর থেকে উত্তরণের কোনো উপায় আছে কী?

উত্তরণের এখনও কোনো উপায় আমরা খুুঁজে পাইনি। যে জন্য শিল্পীদের অবস্থা কতটা করুণ হয়ে পড়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। আমার কয়েকজন পরিচিত শিল্পী আছেন, যাদের এখন ঢাকায় থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। শিল্পীদের প্রধান আয়ের উৎস কনসার্ট। কিন্তু আগামী এক বছর সরাসরি কোনো গানের আয়োজন হবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অর্থের বিনিময়ে অনেকে অনলাইনে শোর আয়োজন করছেন। এটি আপৎকালীন সময়ের একটি মাধ্যম হতে পারে। কিন্তু তাতে সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন পেশার মানুষ সরকারি ও বেসরকারিভাবে সহায়তা পাচ্ছে। কিন্তু পেশাদার শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা এখনও উপেক্ষিত। এ পরিস্থিতিতে অনেকের কাছে হয়তো শিল্পীদের ভূমিকা নগণ্য। আমার ধারণা, যাদের কাছে শিল্পী ও মিউজিশিয়ানরা নগণ্য, তাদের কাছেই করোনার পর শিল্পী ও শিল্পের গুরুত্ব বাড়বে। কিন্তু এ কথাও ঠিক, শিল্পীরা যদি এই পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে না পারে, তাহলে সংগীতাঙ্গনের বড় এক শূন্যতা তৈরি হবে। আর সেই শূন্যতায় সাম্প্রদায়িকতাও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

'নয়ন জলের গান' অ্যালবামের পর জলের গানের নতুন কোনো আয়োজন নিয়ে ভাবছেন?

জলের গানের নতুন অ্যালবামের পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু করোনা মহামারি সব ওলটপালট করে দিয়েছে। এখন দেখা যাক, কতদিনে কী করতে পারি। তবে এটাও ঠিক, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই অ্যালবাম প্রকাশে উঠেপড়ে লাগব- তা নয়। যাই করি না কেন, বুঝেশুনে এমন সময় নিয়ে করতে চাই।

আরও পড়ুন

×