ভার্সেটাইল শিল্পী হবো সেই স্বপ্নই দেখি: ঐশী

বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২০ | ০৩:৫১ | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২০ | ০৩:৫৪
ঐশী। তারকা কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি 'মেঘের বাড়ি', 'খুঁজে ফিরি তাই'সহ বেশ কিছু নতুন গান প্রকাশ করেছেন তিনি। একক গান ছাড়াও নতুন করে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল ও সিনেমার প্লেব্যাক নিয়ে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময়ের ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে
'ঐশী এক্সপ্রেস-২' অ্যালবামের কথা বললেও শুধু একক গান প্রকাশ করছেন। কারণ কী?
এখন যেসব একক গান প্রকাশ করছি, সেগুলো 'ঐশী এক্সপ্রেস-২' অ্যালবামের জন্যই রেকর্ড করা। যে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম, সেটা করা সম্ভব হয়নি। কারণ অ্যালবাম প্রকাশের এখন কোনো সুযোগই নেই। কোনো এক সময় প্লে লিস্ট তৈরি করে 'ঐশী এক্সপ্রেস-২' গানগুলো রাখার চেষ্টা করব। এখন দেখা যাক, কবে সে সুযোগ আসে।
নতুন গানগুলো নিয়ে শ্রোতার সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
অনেকেই বলেছেন 'মেঘের বাড়ি', 'খুঁজে ফিরি তাই', 'মনের খবর' গানগুলো তাদের ভালো লেগেছে। এই দুঃসময়ে মানুষ গান শুনছে; ভালো লাগা, মন্দ লাগার কথা জানাচ্ছে- এটাই বড় প্রাপ্তি।
ফোক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু এখন আধুনিক গান বেশি গাওয়ার কারণ কী?
আমি ভার্সেটাইল শিল্পী হিসেবে নিজেকে তৈরি করার স্বপ্ন দেখি। তাছাড়া ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অধুনিক গান গাইছি। অনেকের সাড়াও পেয়েছি। যেসব শ্রোতা আধুনিক গান পছন্দ করেন, তাদের কথা ভেবেই গাওয়া। আর ফোক গান তো আজীবন গাইব- এটাই আমার ইচ্ছা। নতুন করে ফোক গান প্রকাশ না করলেও চর্চা ও রেকর্ডিং কিন্তু থেমে নেই।
সব ধরনের গান গাওয়ার ইচ্ছা থেকেই কি রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত গাওয়া?
রবি ঠাকুর ও কাজী নজরুলের গান মাঝে মাঝেই গাওয়া ইচ্ছা হয়। তবে কিছুদিন আগে অনেকের সঙ্গে সন্মিলিত গেয়েছি, সেটা কোনরকম পরিকল্পনা ছাড়াই গাওয়া। 'গানবাংলা পরিবার' নামের আমাদের যে ফেসবুক গ্রুপ আছে, তার আড্ডা থেকেই এই গান গাওয়ার সূত্রপাত। আড্ডায় তাপস ভাই [কৌশিক হোসেন তাপস] তার পিয়ানোতে কবিগুরুর 'আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে' গানটির সুর তুলে তুলেছিলেন। সেই সুর শুনে আঁখি আপা [আঁখি আলমগীর] হঠাৎ গাওয়া শুরু করেছিলেন। এরপর আমরাও একে একে বিভিন্নজন ভিডিওতে গানটি শুনিয়েছিলাম। পরে তাপস ভাই সেই সম্মিলিত গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
নজরুলসংগীত গাওয়ার পেছনেও কি নাটকীয় ঘটনা আছে?
নাটকীয় ঘটনা না, কিছুটা নিজের ইচ্ছা আর আমার গানের শিক্ষক বরেণ্য শিল্পী সুজিত মোস্তফার কারণেই নজরুল সংগীত গাওয়ার সাহস হয়েছে। এতদিন ইচ্ছা হলেও নজরুলসংগীত গাওয়ার সাহস পাইনি। তিনিই সেই সাহস জুগিয়েছেন। করোনায় ঘরবন্দি সময়কে কাজে লাগাতে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার আয়োজিত নজরুলসংগীতের একটি অনলাইন কোর্সে অংশ নিয়েছিলাম। পাশাপাশি সুজিত মোস্তফার কাছে চলছিল গান শেখা। নজরুলের 'কথা কও, কও কথা' গানটিও শিখেছি তার কাছে। গান প্রকাশ করার বিষয়েও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন তিনি। কিন্তু নজরুলের আধুনিক অঙ্গের এই গান গেয়ে এত সাড়া পাব, সত্যি ভাবিনি। শ্রোতাদের কাছে সাড়া পাওয়ায় ভাবছি, আগামীতে আরও কিছু গান গাওয়া যায় কিনা।
রবীন্দ্রসংগীত নিয়েও কি এমন ভাবনা আছে?
ছোটবেলা থেকেই আমি রবীন্দ্রসংগীতের ভক্ত। মা, বাবা দু'জনেই রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন, আমিও শিখেছি। অন্যান্য ঘরনার গানও শেখা হয়েছে। লোক গানের সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীতের এক যোগসূত্র আছে বলেও আমার মনে হয়। যেজন্য লোক গান এবং রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি এত ভালো লাগা। তাই ভবিষ্যতে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে তা প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।
এখন কী কাজ নিয়ে ব্যস্ত?
একক গান ছাড়াও বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল ও সিনেমায় প্লেব্যক করছি। কনসার্ট না হলেও টিভি লাইভে গাইছি। তবে স্টুডিওর কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছি না। তাই ঘরে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনায় স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আমি মেডিকেলের ছাত্রী বলেই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই কাজটি করছি।