ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মেয়ে বড় হওয়ায় পুরোদমে কাজে সারিকা

মেয়ে বড় হওয়ায় পুরোদমে কাজে সারিকা

অভিনেত্রী সারিকা

এমদাদুল হক মিলটন

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ১২:০০ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৫:৫৪

'আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি অতিথি হয়েছি, এবার বসেছি উপস্থাপকের চেয়ারে! এটি আমার জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা। এখন উপস্থাপনার বিষয়টি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বেশ রোমাঞ্চকর মনে হচ্ছে। অনুষ্ঠানে আড্ডার ছলে অতিথিদের সঙ্গে কথা বলি। যারা অতিথি হয়েছেন, তাদের সঙ্গে চেনাজানা ও কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় উপস্থাপনা সহজ হয়েছে। প্রথম রেকর্ডিংয়ের সময় কিছুটা জড়তা কাজ করছিল। এখন তো এটি বেশ উপভোগ করছি।'

প্রথমবার অনুষ্ঠান উপস্থাপনার অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই বলেন মডেল অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। বাংলাভিশনে তার উপস্থাপনায় এখন নিয়মিত প্রচার হচ্ছে সেলিব্রেটি টক শো 'আমার আমি'। মডেলিংয়ের সিঁড়ি বেয়ে অভিনয় দিয়ে নিজেকে আজকে যে জায়গায় দাঁড় করিয়েছেন, সেই স্বপ্নের বীজ তিনি বপন করেছিলেন ২০০৬ সালে। ক্যারিয়ারের শুরুতে একটি প্রসাধনসামগ্রীর বিজ্ঞাপন তাকে নিয়ে আসে পরিচিতির আলোয়। এর পরের পথচলা তো সবারই কমবেশি জানা। বিরতি ভেঙে অভিনয়েও এখন নিয়মিত তিনি।

গেল দুই ঈদেও বেশ কয়েকটি নাটক দিয়ে ছোটপর্দায় সরব ছিলেন তিনি। অনেকের অভিযোগ, মাঝে মধ্যে অভিনয়ের উঠোন থেকে হঠাৎ হারিয়ে যান আপনি। এ কথা কতটা সত্যি? উত্তরটা হেসেই দিলেন তিনি। সারিকা বলেন, সময় মানুষকে বদলে দেয়। তাই নিজে কাজের ধরনও একটু বদলেছি। একসময় নিয়মিত কাজ করেছি। এরপর বিরতি নিয়েছিলাম। তার মানে এই নয় যে, অভিনয় অঙ্গন থেকে হারিয়ে গেছি কিংবা আমাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। যদি খুঁজে না-ই পাওয়া যায়, তাহলে কাজ করছি কীভাবে? সত্যি এটাই যে, বিরতি ভাঙার পর অভিনয়ের মাঝেই আছি। তবে তা আগের তুলনায় একটু কম। কারণ, অভিনয়ের বাইরেও আমার আলাদা এক জীবন রয়েছে। পরিবার-পরিজন আছে। তাদের ফেলে রেখে সব সময় কাজে ডুবে থাকতে পারি না। এতদিন আমার মেয়েকে সময় দিয়েছি। মেয়ে বড় হচ্ছে। তাই কাজে আবার মনোযোগ দিতে পারছি। এখন অভিনয়ে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছি। নিজেকে গুছিয়ে এনেছি। যে জন্য গত দু'মাসে অনেক কাজ করেছি। সারিকা যে পুরোদমে ফিরেছেন, তা তার কাজের ফর্দ ঘাঁটলেই বোঝা যায়। এরই মধ্যে তিনি অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালামের পরিচালনায় 'যমজ ১৪', বি ইউ শুভর 'থার্ড ক্লাস', দীপু হাজরার 'গেম অব লাইফ', রিপনের 'ভালোবেসে যে পথ হারায়', শাখাওয়াৎ মানিকের 'চেনা মুখ অচেনা ঠিকানা', চয়নিকা চৌধুরীর 'নোয়াই' নাটকে।


নাটকগুলোতে অভিনয় প্রসঙ্গে সারিকা বলেন, চ্যালেঞ্জিং চরিত্র আমাকে সব সময়ই টানে। নাটকগুলোতে ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করেছি। 'ভালোবেসে যে পথ হারায়' নাটকে আমি প্রথমবারের মতো ষাট বছরের বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছি। এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করাটা আমার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি চেষ্টা করেছি সাধ্যের পুরোটুকু দিয়ে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে। এখন দর্শকদের ভালো লাগলেই আমার সার্থকতা। এ ছাড়া 'যমজ' নাটকে আমার চরিত্রটি নিয়ে আশাবাদী। আর মোশাররফ ভাই অভিনীত এই নাটকটিরও আলাদা দর্শক আছে। এ ছাড়া অন্য নাটকগুলোতে আমার চরিত্র ছিল ব্যতিক্রমী। এখনও চাইলে, মানে ২৫ দিনই শুটিং করতে পারি। কারণ, ভালো গল্প ও চরিত্র না পেলে অভিনয়ের ইচ্ছা নেই। তবে একনাগাড়ে অনেক কাজ করতে চাই না।

নাটক, টেলিছবিতে অভিনয় করে সাফল্য পেয়েছেন। সিনেমায় অভিনয় ভাবনার কথা জানতে চাইলে সারিকা বলেন, একসময় সিনেমায় অভিনয়ের অনেক প্রস্তাব পেয়েছি। আমি তখন অনড় ছিলাম, সিনেমা করব না। এখন সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। কারণ, আমার মনে হয়েছে ভিন্নধর্মী গল্পে কাজ হচ্ছে। এদিকে যখন ইচ্ছা পোষণ করছি, সত্যি বলতে এখন জুতসই গল্প ও ভালো চরিত্র পাচ্ছি না। ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে সিনেমায় অভিনয়ে আমার আপত্তি নেই। দেখা যাক, সামনে কী হয়।

আরও পড়ুন

×