ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

'এ অর্জন মানুষের মঙ্গলে কাজে লাগাতে চাই'

'এ অর্জন মানুষের মঙ্গলে কাজে লাগাতে চাই'

এমদাদুল হক মিলটন

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২১ | ০০:৫৬

  • সংস্কৃতি অঙ্গনে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য ২০২০ সালের স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। এই সম্মাননা অর্জনের অনুভূতি ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো এই দুই গুণীর সঙ্গে। 

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তিতে কেমন লাগছে?

যে কোনো প্রাপ্তিই সম্মানের। তার কাজের মূল্যায়ন। তাকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে। জীবনের এই সময়ে এসে পদক পেয়ে ভালো লাগছে। চারদিকে এত দুঃসংবাদের মধ্যেও এমন খবর বেশ আনন্দ নিয়ে এলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে ২০ বছর আগে একুশে পদক নিয়েছি। আবার তার কাছেই স্বাধীনতা পদক পেতে যাচ্ছি। যেজন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর হতে যাচ্ছে। জাতির পিতার জন্মের একশ বছর পূর্তি। এত দীর্ঘ সময় বেঁচে আছি বোধহয় এই সময়টি পাওয়ার জন্যই।

আপনি কি মনে করেন এই পুরস্কার কাজের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে?

অবশ্যই। জীবনে অনেক চাইনি। অল্প পেলেই আমি খুশি। এই আনন্দ নিয়েই পথ চলতে ভালো লাগে। মানুষের অর্জন থেকে যায়। এই অর্জন মানুষের মঙ্গলে কাজে লাগাতে চাই। দেশের মানুষই আমার কাছে শেষ কথা- এটিই আমার বিশ্বাস।

মঞ্চের সংকট ও সম্ভাবনাকে কীভাবে দেখছেন?

মঞ্চে সংকট ও সম্ভাবনা দুটিই আছে। করোনাভাইরাসকে অতিক্রম করতে পারলে এটা কেটে যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আবারও মঞ্চ নাটকে প্রাণ ফিরে পাবে। যে কোনো কাজেই সংকট থাকবে। আমাদের সিনেমাতে রয়েছে। সম্ভাবনাও রয়েছে। মঞ্চে নতুন প্রজন্ম অনেক নাটক লিখছেন। ভালো অভিনয় করছেন। ঢাকার সব জায়গায় আরও মঞ্চ হওয়ার দরকার। নাটককে পেশা হিসেবে যাতে নেওয়া যায়, সে লক্ষ্যেও কাজ করছেন মঞ্চকর্মীরা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দ্বারপ্রান্তে। আমরা কতটুকু অর্জন করতে পেরেছি?

স্বাধীনতা হচ্ছে আত্মার তৃপ্তিকে প্রশস্ত করা। দেশের জন্য কিছু করা। আমরা একটি স্বাধীন দেশে বাস করছি। মুক্তভাবে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ পাচ্ছি। দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেয়েছি। এটিই মস্ত বড় অর্জন বলে মনে করি।

আরও পড়ুন

×