ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

কুখ্যাত এক গুপ্তঘাতক

কুখ্যাত এক গুপ্তঘাতক

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:২২ | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ | ০৩:৪২

অভিনয়ের সুবাদে তিনি বহুল পরিচিত হলেও এখন পর্যন্ত গোল্ডেন গ্লোব বা অভিনেতাদের অতি আরাধ্য অস্কার পাওয়া হয়ে ওঠেনি তার। কিন্তু তিনি যে একজন দারুণ অভিনেতা, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তা দম-ফাটানো কমেডি বা জমজমাট অ্যাকশন থ্রিলারই হোক না কেন, সর্বত্রই তার সাবলীল বিচরণ। তার সঙ্গীত প্রতিভারও কমতি নেই, র‌্যাপশিল্পী হিসেবে চারটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। তিনি আর কেউ নন। সব সময় হাসিখুশি থাকা মানুষটির নাম উইল স্মিথ।

১৯৬৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ফিলাডেলফিয়ায় জন্ম নেন উইল স্মিথ। তার পুরো নাম উইলার্ড ক্যারল স্মিথ জুনিয়র। তবে হাই স্কুলের শিক্ষকরা তাকে ডাকতেন 'প্রিন্স' কিংবা 'প্রিন্স চার্মিং' বলে। কারণ, মুখের কথা আর দুষ্টু হাসি দিয়ে ভুলিয়ে যে কোনো পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষমতা ছিল তার, কেউই তার ওপর রাগ করে থাকতে পারত না বেশিক্ষণ। ফিলাডেলফিয়ার যে অঞ্চলে তিনি বেড়ে উঠেছেন, সেখানে খ্রিষ্টানদের পাশাপাশি ইহুদি আর মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষও বসবাস করতেন। কট্টর ক্যাথলিক পরিবারে বেড়ে উঠেও দারুণ সংস্কৃতিমনা ছিলেন তিনি। একই স্কুলে পড়া ডিজে জেফরি টাউনসের সঙ্গে দারুণ বনে যায় তার। শুরু করেন হিপহপ গান। ১৯৮৬ সালে প্রকাশ হয় তাদের প্রথম গান 'গার্লস অ্যাইন'ট অ্যানিথিং বাট ট্রাবল'। তাদের প্রথম অ্যালবামের নাম ছিল 'রক দ্য হাউস'। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই লম্বায় ছয় ফুট দুই ইঞ্চি হওয়ায় বয়সের তুলনায় কিছুটা বড়ই দেখাত তাকে। গানের সঙ্গে কমেডি মিউজিক ভিডিও দিয়ে নজর কাড়েন সবার।

১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া 'সিক্স ডিগ্রিজ অব সেপারেশন' ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে মুখ্য চরিত্রে কাজ করেন। তবে তার ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া মাইকেল বের অ্যাকশন কমেডি 'ব্যাড বয়েজ'। এরপর মুক্তি পাওয়া 'ইনডিপেনডেন্স ডে'র মাধ্যমে স্মিথ ভালোভাবেই প্রথম সারির তারকাদের মধ্যে জায়গা করে নেন। ১৯৯৭ সালে স্টিভেন স্পিলবার্গ প্রযোজিত সায়েন্স ফিকশন কমেডি 'মেন ইন ব্ল্যাক'-এ অভিনয় করে বক্স অফিসে সাড়া ফেলে দেন তিনি। আবারও হলিউডে সাড়া ফেলতে আসছেন তিনি। এবারের ছবির নাম 'জেমিনি ম্যান'। এটি পরিচালনা করেছেন অস্কারজয়ী পরিচালক অ্যাং লি। হলিউডের ছবিতে এখন বয়স কমানোর প্রযুক্তি হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে, যার সর্বশেষ সংযোজন হতে চলেছে 'জেমিনি ম্যান' ছবিতে। 'লাইফ অব পাই' খ্যাত এই পরিচালক এবার ডি-এজিং প্রযুক্তির মাধ্যমে উইল স্মিথকে নিজের ক্লোনের মুখোমুখি করেছেন। ফলে এই ছবিতে উইল স্মিথের অবিকল চরিত্রে আরেক তরুণ উইল স্মিথকে দেখা যাবে। যেখানে যমদূত হয়ে আসা নিজের ক্লোনের সঙ্গেই লড়তে দেখা যাবে তাকে। এর আগে 'ক্যাপ্টেন মার্ভেল' সিনেমায় স্যামুয়েল এল জ্যাকসন চরিত্রে এই প্রযুক্তি সফলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া 'জেমিনি ম্যান' ছবির ট্রেলারে দেখা যায়, কুখ্যাত গুপ্তঘাতক হেনরি চরিত্রে অভিনয় করেছেন উইল স্মিথ। তাকে হত্যা করতেই তার ক্লোন নির্মাণ করে সরকারি বাহিনী। ফলে নিজের চেয়ে ২৫ বছরের কম বয়সী নিজেরই স্বরূপের সঙ্গে লড়তে হয় হেনরিকে।

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন ক্লাইভ ওভেন। ছবিতে হেনরির ক্লোন তৈরি করেন তিনি। হলিউডের এক সংবাদমাধ্যমে ক্লাইভ ওভেন জানান, হেনরির সব শক্তি দিয়েই জুনিয়র হেনরিকে [ক্লোন] তৈরি করা হয়েছে। তবে হেনরির কোনো কষ্ট সেখানে দেওয়া হয়নি। অ্যাং লি পরিচালিত 'জেমিনি ম্যান' সিনেমাটি চলতি বছরের ১১ অক্টোবর মুক্তি পাবে।

আরও পড়ুন

×