ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

ফেলে আসা স্মৃতি..

ফেলে আসা স্মৃতি..

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পুনর্মিলনী ও ইফতার আয়োজন-ছবি :সংগ্রহ

আশিকুর রহমান

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২ | ০২:০৩

গত ৯ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডির কেবি স্কয়ার যেন হয়ে উঠেছিল একখণ্ড নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকায় অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে পুনর্মিলনী ও ইফতারি আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অংশ নেন। পুনর্মিলনী উপলক্ষে সবাই একত্র হওয়ায় সেখানে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

পুনর্মিলনীতে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এক সময়ের পরিচিত মুখগুলো পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরে অনেকের সঙ্গেই দেখা হয়ে ওঠেনি নানা কর্মব্যস্ততায়। প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন পরিচিত সব মুখ এক ছাদের নিচে দেখতে পেয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন। ক্যাম্পাসের বটতলা, ময়নাদ্বীপ, দিনান্তিকার গল্প প্রাক্তনীরা বলতে শুরু করলে হারানো সেই স্মৃতি যেন এক নিমেষেই ব্যস্ততম নগরীকে করে তোলে একখণ্ড নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। মিলনমেলার এই আয়োজন ক্যামেরাবন্দি করতে ভোলেননি তারা।

আনাড়ি হাতেই সবাই যেন হয়ে ওঠেন একেকজন আলোকচিত্রী। দীর্ঘদিন পর অগ্রজ ও অনুজদের দেখা হওয়ায় ক্যামেরায় সেই স্মৃতি ধরে রাখেন। কুশল বিনিময়, আলিঙ্গনে সবাই ফিরে যান প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। পুনর্মিলনীতে আসা আরব আমিরাত দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিশ্নেষক লালন আলতাপ জানান, একই শহরে বসবাস করলেও ব্যস্ততার কারণে যোগাযোগ না থাকায় পরিচিত মুখগুলো হারিয়ে যাচ্ছিল।

ক্যাম্পাসের পরিচিত মুখগুলো একসঙ্গে পেয়ে আনন্দ আর ধরে রাখতে পারছেন না, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেই রঙিন দিনগুলো বারবার মনে পড়ছে। মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক বাবুল হোসাইন অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, সব পরিচিত মুখ একসঙ্গে দেখে মনেই হয়নি ঢাকায় আছি। ফিরে গিয়েছিলাম সেই ক্যাম্পাস জীবনে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত নিয়ে পড়াশোনা করা প্রাক্তন নজরুলিয়ান ও বর্তমানে 'এম রেকর্ডস'-এ মিউজিক প্রডিউসার হিসেবে কাজ করা সাইদুজ্জামান সুমন বলেন, আমরা চাই ঢাকায় অবস্থানরত প্রাক্তন নজরুলিয়ানরা যেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সফল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি। বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারি। এই মিলনমেলা যেন আমাদের সামনে এগিয়ে চলার শক্তি আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরেক নজরুলিয়ান বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর (রিসার্চ) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই ইফতার ও পুনর্মিলনীতে যোগ দিতে পেরে অনেক আনন্দ অনুভব করছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পুরোনো বন্ধু, বড় ভাই ও ছোটদের পেয়ে মনে হচ্ছে ক্যাম্পাস জীবনে চলে এসেছি। ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট তর্পণ পাল বলেন, সবাইকে দেখে ভীষণ আনন্দিত। অনুষ্ঠানের আয়োজনের ব্যাপারে কথা হলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার (উপপরিচালক, আইসিটি) হিসেবে কর্মরত আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাহমুদ মুনিম বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে চমৎকার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এক টুকরো নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় যেন ঢাকায় ধানমন্ডিতে চলে এসেছিল।
এ এক বিশাল প্রাণের মিলন। এক সুন্দর সন্ধ্যা আমরা কাটিয়েছি। এই সন্ধ্যা আমাদের সবার জীবনে অক্ষয় হয়ে থাক।

আরও পড়ুন

×