আতর টুপি জায়নামাজ

তৌহিদুল ইসলাম তুষার
প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২২ | ১২:০০ | আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২২ | ০১:৪৯
সামনে ঈদুল ফিতর। ধর্মপ্রাণ মানুষ সবসময় চান, পরিপাটি থাকতে। দিনটিকে ঘিরে আতর, টুপি আর জায়নামাজ কেনার ধুম থাকে। বাড়ির মুরব্বিরা পোশাকের পাশাপাশি নতুন জায়নামাজ আর টুপি পছন্দ করেন। মতিঝিলের অফিস পাড়াতে বসে বেশকিছু জায়নামাজ আর টুপির দোকান। অফিস শেষ করে খালেক সাহেব ঘুরে ঘুরে দেখছেন সেসব। বাবা এবং চাচার জন্য নিলেন দুটি জায়নামাজ। দামেও বেশ কম। খুব বেশি কারুকাজ নেই। বাবা মইন আহসান তেমনই পছন্দ করেন। যারা একটু বেশি কারুকাজ পছন্দ করেন তারা নিউমার্কেট বা বাইতুল মোকাররমের আশপাশ থেকে কিনলে ভালো।
নকশার আর মানের ওপর ভিত্তি করে জায়নামাজের দাম কমবেশি হয়ে থাকে। এখন বেশকিছু জায়নামাজ পাওয়া যায় হাতে বোনা। তবে কারখানায়ও তৈরি জায়নামাজ বেশি। আকার-আকৃতিতেও মেলে রকমফের। জায়নামাজের সাধারণ মাপ আড়াই ফুট চওড়া ও চার ফুট লম্বা। এসব জায়নামাজ নকশা ও ডিজাইনভেদে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকাও হয়।
ঈদের অন্যতম আর একটি অনুষঙ্গ টুপি। মুসলমানদের কাছে টুপির রয়েছে আলাদা কদর। আর ঈদ এলে তো কথা নেই। নতুন টুপি কিনতেই হবে। ফেব্রিক এবং ডিজাইনের ওপর ভিত্তি করে দামের পার্থক্য হয় টুপির। সাধারণ টুপিগুলো পাওয়া যায় বিশ টাকা থেকে একশ টাকায়। তবে একটু ভালোমনের টুপি মিলবে দেড়শ থেকে এক হাজার টাকায়।
যে কোনো বসনে সুগন্ধির বিকল্প নেই। ঈদে সুগন্ধি হিসেবে বরাবরই কদর ছিল আতরের। পারফিউমে অনেক সময় অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকায় আতরকেই বেছে নেন। প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি আতর যেন অটুট রাখে পবিত্রতা। বড় পাত্র থেকে ঢেলে বিভিন্ন দামে আতর বিক্রি হয়। বিদেশি আতরগুলো আরও বেশি দামে বিক্রি হয়। মানার, মেজা, মিনা, সুলতান, ব্লুসি, রাশিকা, নার্গিস, রাকান, সিলভার সুলতানসহ বিভিন্ন নামের আতর পাওয়া যায়। বেশি আতর আসে ভারত থেকে। ভারতের আতর দামে তুলনামূলক সস্তা।
দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইবাদতের জন্য প্রায় সময় প্রয়োজনীয় ভালো উপকরণ খুঁজতে থাকেন। কোথায় কম দামে ভালো জিনিস পাওয়া যায় তা অনেকের অজানা। দেশি আতর, তসবি, টুপির বড় বাজার ঢাকার চকবাজার ও মিটফোর্ড এলাকা। আর বায়তুল মোকাররম মসজিদের পাশের দোকানগুলো হচ্ছে বিদেশি আতরের সবচেয়ে বড় পাইকারি মার্কেট। বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে আতর আনা হয় এবং তা পাইকারি বিক্রি করা হয়। এখানে আতর ছাড়াও তসবি, জায়নামাজ, টুপি, বোরকা পাওয়া যায়।