এডাস্ট
মাদকের বিরুদ্ধে তারুণ্য

অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি সুহৃদ সমাবেশের আয়োজনে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক সেমিনারে অতিথিরা
ফরিদুল ইসলাম নির্জন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২২ | ১২:০০
'আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে/ এ জীবন পুণ্য করো দহন-দানে'- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কথামালার মতো হলরুম মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে তারুণ্যের পদচারণায়। মাদকবিরোধী সচেতনতায় হয় এই সম্মিলন। বাইরে সূর্যের আভা কমে যায় ক্রমেই, কিন্তু ভেতরে হলরুমের বক্তাদের কথার আলোর দীপ্তি বেড়ে যায়। উদ্দেশ্য একটাই- সবাইকে মাদকের ছোবল থেকে দূরে রাখা। মাদকের ভয়াবহতা ও সচেতনতা সম্পর্কে জানাতে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এডাস্ট) সুহৃদরা 'মাদক নির্মূলে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিক্ষার্থীদের করণীয়' শীর্ষক সেমিনার গত ২৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়। ভয়ানক মাদক থেকে দূরে থাকলে নিজের মেধা ও মনন থেমে থাকে না। তরুণ শিক্ষার্থীরা যাতে মাদকের সংস্পর্শে না আসেন, এ জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিবার ও সমাজিকভাবে মাদকবিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলার প্রতি জোর দেন সেমিনারের আলোচকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক তানভীর মমতাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল, উপপরিচালক রাশিদুজ্জামান, সমকালের সহকারী সম্পাদক জিয়া হাসান, সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আসাদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সুহৃদ ফরিদুল ইসলাম নির্জন, তরিকুল ইসলাম ও শাহীন আলম। সঞ্চালনা করেন এডাস্ট সুহৃদ উপদেষ্টা ও ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
তামান্না শাওন।
তানভীর মমতাজ বলেন, মাদক সেবনের কারণে মানুষ পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে মাদক নির্মূলে তরুণদের অদম্য শক্তি কাজে লাগাতে হবে।
লিয়াকত সিকদার বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সুহৃদদের সব ভালো কাজে আমরা পাশে আছি, আগামীতেও থাকব।
উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মেধাবী জাতি এবং শিক্ষিত তরুণ সমাজ গঠন করতে হলে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মো. জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মিডিয়া চাইলে মাদক নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি সবকিছু ভুলে যায়। এমন কিছু মাদক আছে, যা গ্রহণে ব্যক্তি নিজেকেও হত্যা করতে পারে। নতুন নতুন অনেক আইন হয়েছে। সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সচেতনতাও বাড়ছে।
জিয়া হাসান বলেন, মাদক নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। মাদক উৎপাদন ও বিস্তার রোধ করতে সংশ্নিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি অন্যদেরও সচেতন করতে হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, দেশজুড়ে সুহৃদরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের মাদক থেকে দূরে রাখছেন। সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মাদক থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব।
আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার ফাঁকে সুহৃদরা এ বিষয়ে মতামত ও মাদকবিরোধী সচেতনতা নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন।
সদস্য সচিব, সুহৃদ সমাবেশ, ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক তানভীর মমতাজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লিয়াকত সিকদার, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাফরুল্লাহ কাজল, উপপরিচালক রাশিদুজ্জামান, সমকালের সহকারী সম্পাদক জিয়া হাসান, সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আসাদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির সুহৃদ ফরিদুল ইসলাম নির্জন, তরিকুল ইসলাম ও শাহীন আলম। সঞ্চালনা করেন এডাস্ট সুহৃদ উপদেষ্টা ও ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
তামান্না শাওন।
তানভীর মমতাজ বলেন, মাদক সেবনের কারণে মানুষ পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে মাদক নির্মূলে তরুণদের অদম্য শক্তি কাজে লাগাতে হবে।
লিয়াকত সিকদার বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সুহৃদদের সব ভালো কাজে আমরা পাশে আছি, আগামীতেও থাকব।
উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মেধাবী জাতি এবং শিক্ষিত তরুণ সমাজ গঠন করতে হলে মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার পাশাপাশি কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
মো. জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মিডিয়া চাইলে মাদক নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। মাদকাসক্ত ব্যক্তি সবকিছু ভুলে যায়। এমন কিছু মাদক আছে, যা গ্রহণে ব্যক্তি নিজেকেও হত্যা করতে পারে। নতুন নতুন অনেক আইন হয়েছে। সরকারি চাকরিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সচেতনতাও বাড়ছে।
জিয়া হাসান বলেন, মাদক নির্মূলে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। মাদক উৎপাদন ও বিস্তার রোধ করতে সংশ্নিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি অন্যদেরও সচেতন করতে হবে।
আসাদুজ্জামান বলেন, দেশজুড়ে সুহৃদরা সামাজিক-সাংস্কৃতিক কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদের মাদক থেকে দূরে রাখছেন। সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে মাদক থেকে নিজেকে দূরে রাখা সম্ভব।
আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনার ফাঁকে সুহৃদরা এ বিষয়ে মতামত ও মাদকবিরোধী সচেতনতা নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন।
সদস্য সচিব, সুহৃদ সমাবেশ, ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটি