ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মেধাবী মুখ

ভার্সিটিতে নিয়মিত ক্লাস করেছি

ভার্সিটিতে নিয়মিত ক্লাস করেছি

মাঈশা তাহরীন একতা

আশিক ইসলাম

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ০৬:০৭

ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবেন। নিজেকে তৈরিও করেছিলেন সেভাবে। কিন্তু তাঁর ডাক্তার হওয়ার সে ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তবে মানুষের সেবা করার যে প্রবল ইচ্ছা তা ঠিকই পূরণ হয়েছে; সেটা ডাক্তার হয়ে নয়, বিচারক হয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পাট চুকানোর আগেই হয়ে গেছেন সহকারী জজ। বলছি পঞ্চদশ বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৫৯তম হওয়া মাঈশা তাহরীন একতার কথা।

একতা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। বর্তমানে তিনি স্নাতকোত্তরে (এলএলএম) অধ্যয়নরত। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোকছেত হাসান ও গৃহিণী মাহফুজা খানম দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে ছোট একতা।

এইচএসসির পর ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। স্নাতক চূড়ান্ত পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেন। একতা বলেন, 'আমার এই সফলতার পেছনে আমার পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের খুশি করতে পেরেছি। এইচএসসির পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেই। বিজ্ঞানবিষয়ক ইউনিটগুলোতে মেধাতালিকায় ভালো অবস্থানে থাকি।

ঢাবি, রাবি, জবি, রুয়েটে ভর্তির সুযোগ পাই। সেগুলো ছেড়ে রাবির আইন বিভাগে ভর্তি হই। বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে একতা বলেন, 'আমাদের একাডেমিক যে পড়াশোনা তা ভালোভাবে করলে বিজেএস পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেকটাই হয়ে যায়।

বাকিটা নিজে নিজেই পড়েছি। প্রতিদিন একটা টার্গেট নিয়ে পড়াশোনা করতাম। যেটুকু সময় পড়তাম মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। ভার্সিটিতেও নিয়মিত ক্লাস করেছি। অনুজদের উদ্দেশে একতা বলেন, যদি ইচ্ছা থাকে বিজেএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার, তাহলে সবকিছুকে এক পাশে রেখে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। অনেক সময় হতাশা কাজ করবে, পাত্তা না দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগের পাশাপাশি একাডেমিক পড়াশোনাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

আরও পড়ুন

×