কিডনি রোগ: লক্ষণগুলো জানুন

ডা. বাবরুল আলম
প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৩ | ১৮:০০
কিডনি রোগের নিজস্ব সমস্যার পাশাপাশি অন্যান্য রোগ যেমন– অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ, শরীরে মারাত্মক পানিশূন্যতার কারণে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। এজন্য এ ক্ষেত্রে বাড়তি সচেতনতার বিকল্প নেই।
যেসব অভ্যাস কিডনির জন্য ক্ষতিকর
-পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করা—পানিশূন্যতার কারণে কিডনির ওপর প্রতিনিয়ত চাপ পড়ে ক্ষতির কারণ হয়। ডায়রিয়া দেখা দিলে দ্রুত পানিশূন্যতা পূরণের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।
-খাবারে অতিরিক্ত লবণ বা পাতে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস। এটা প্রমাণিত, অতিরিক্ত লবণ শরীরে পানি ধরে রাখে ও উচ্চ রক্তচাপ ঘটিয়ে প্রকারান্তরে কিডনির ক্ষতিসাধন করে থাকে।
-অতিরিক্ত পরিমাণ প্রাণিজ আমিষ খাওয়া। অতিরিক্ত আমিষ বা প্রোটিন রক্তে শরীরের বর্জ্যের (ক্রিয়েটিনিন বা ইউরিয়া) পরিমাণ বৃদ্ধি করে কিডনির মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে থাকে।
-ধূমপানসহ অন্যান্য মাদকে অভ্যস্ত হয়ে পড়া।
-চিনি ও চিনিজাত খাবার বেশি খাওয়া। ডায়েবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
-জাঙ্ক বা ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়া। জাঙ্ক ফুড সোডিয়ামে ভরপুর থাকে, যা কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
-অপর্যাপ্ত ঘুম। স্ট্রেস, অশান্তি উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ। উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের ঝুঁকি বহন করে।
-অনিয়ন্ত্রিতভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতিরেকে বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা।
-নিষ্কর্ম অলস জীবনযাপন করা।
কিডনি সুস্থ রাথতে হলে যা করণীয়
-প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও তরল খাবার গ্রহণ করা।
-স্বাস্থ্যকর ও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা।
-রক্তের সুগার তথা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা।
- কর্মমুখর জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়া।
-ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ এনএসআইডি যেমন আইবুপ্রুফেন,ডাইক্লোফেনাক সোডিয়াম, নেপ্রোক্সেন সোডিয়াম ইদ্যাদি ওষুধ সেবন না করা।
-ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।
-খাবারে চিনি ও লবণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ রাখা।
[অধ্যাপক ও পরিচালক
নিকডু শেরেবাংলা নগর ঢাকা]
- বিষয় :
- কিডনি রোগ