ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

সাক্ষাৎকার

খালাস সমস্যার সমাধান হলে বাড়বে সক্ষমতা

খালাস সমস্যার সমাধান হলে বাড়বে সক্ষমতা

তরফদার রুহুল আমিন , ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সাইফ পাওয়ারটেক

--

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর -০০০১ | ০০:০০

সমকাল: চট্টগ্রাম বন্দরের সর্ববৃহৎ দুটি টার্মিনাল পরিচালনা করছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড। এটি করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন?

তরফদার রুহুল আমিন: চট্টগ্রাম বন্দরে এনসিটি ও সিসিটি পরিচালনা করছি আমরা। এ দুটি কনটেইনার পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক বাধার মুখোমুখি হয়েছি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অপারেশনাল কাজ পরিচালনা করছি আমরা। দক্ষ জনবল তৈরি করার কারণে এ দুটি টার্মিনালে আমূল পরিবর্তনও এনেছি। পুরো বন্দরে যে কনটেইনার হ্যান্ডল হচ্ছে, তার বেশিরভাগ এককভাবেই অপারেশন করছে সাইফ পাওয়ারটেক। শুরুতে অনেক বাধা থাকলেও এখন খালাস কার্যক্রম ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে না।

সমকাল: খালাস কার্যক্রমে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন?

তরফদার রুহুল আমিন: ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এনসিটি টার্মিনালে আমরা ২০ ফুট এককের প্রায় ১৫ লাখ ৮৮ হাজার কনটেইনার হ্যান্ডল করেছি। আবার ২০১৪ থেকে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সিসিটি টার্মিনালে ১৫ লাখ ৫ হাজার কনটেইনার হ্যান্ডল করেছি। এসব কনটেইনার জাহাজ থেকে নামানো বা ওঠানো যতটা কঠিন হয়েছে, তার চেয়ে বেশি বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে পণ্য খালাস করতে গিয়ে। এফসিএল কনটেইনারের পরিমাণ অনেক বেশি। আবার এলসিএল কনটেইনারে থাকে একাধিক আমদানিকারকের পণ্য। এটি শুল্কায়নের সময় জায়গা অনেক বেশি লাগে। একসঙ্গে অনেক ট্রাক পণ্য ডেলিভারি নিতে এলে জট লেগে যায়। তখন নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হয়।

সমকাল: বন্দরে আসা পণ্য অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় বাইরে খালাস করা যায়?

তরফদার রুহুল আমিন: বিশ্বের আধুনিক কোনো বন্দরে পণ্য খালাস করা হয় না। বিকল্প কোনো স্থানে নিয়ে গিয়ে পণ্য খালাস করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে এ কাজটি করতে গিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। প্রতিদিন সাত থেকে আট হাজার গাড়ির চালক ও হেলপার প্রবেশ করছে বন্দরে। এতে করে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। গাড়িরও দীর্ঘ জট তৈরি হচ্ছে। খালাস কার্যক্রম যদি বিকল্প কোনো স্থানে করা হয়, তাহলে এই ঝুঁকিটা এড়াতে পারবে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কোথায় করলে এটি নিরাপদ হবে, বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সেই স্থান নির্ধারণ করতে পারে তারা। খালাস সমস্যার সমাধান হলে বন্দরের সক্ষমতা অনেক বাড়বে।

আরও পড়ুন

×