পায়ের তলায় সর্ষে
বন্ধুত্বের টানে...

সাফা কবির
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৩ | ১৮:০০
আমি ঘুরতে ভালোবাসি। ভালো লাগে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও। তাই শুটিংয়ের বাইরে ফুরসত পেলেই ছুটে যাই ঘুরতে। কখনও দেশে, কখনওবা দেশের বাইরে। এবার ঈদের আগে নাটকের শুটিংয়ের বেশ চাপ ছিল। ফলে সে সময়টায় মাথা তোলার সুযোগ মেলে না যেন। ঈদের পর সে তুলনায় বেশ ফাঁকা। এই ফাঁকা সময়টাতে এবার ঘোরাঘুরিতে বেশ কাজে লাগিয়েছি। মিডিয়ায় আমাদের একটি বন্ধু সার্কেল রয়েছে। সুখে-দুঃখে আমরা বেশ কাছাকাছি থাকি।
বলা যায়, পারিবারিক বন্ধুতা। এর মধ্যে রয়েছে– সিয়াম-অবন্তি, টয়া-শাওন, জোভান, তামিম মৃধাসহ অনেকেই। অবাক হয়ে যাবেন, ওরা আমার সঙ্গে বেশ মজা করে। মজাগুলো আমি দারুণ উপভোগ করি। বরাবরই ওদের সঙ্গে গ্রুপ ছবিতে আমার চোখ বন্ধ আসে। এটি কিন্তু কাকতালীয়। অনেক সতর্ক থাকলেও এটি হয়ে যায়। এই চোখ বন্ধ ছবিই আবার তারা পোস্ট করবে, এই নিয়ে আবার কত কী! বন্ধুদের মধ্যে অনেক মজা হয়। বন্ধুদের মধ্যে মজা-দুষ্টুমি না থাকলে কিসের বন্ধু। এগুলো নিয়ে হাসাহাসিও হয় অনেক। আমরা অনেক কাজ করি। একসঙ্গে কাজ থাকলে বা দেখা হলে সেভাবে সময় নিয়ে আড্ডা দেওয়া হয় না। এজন্য অনেক দিন ধরে পরিকল্পনা ছিল সময় করে ঘুরতে যাব। কারও সঙ্গে কারও শিডিউল মিলছিল না। সিয়াম, তৌসিফ, জোভান, টয়া, শাওন, তামিমসহ সবাই মিলে থাইল্যান্ড দেখে এলাম। কোনো কাজে নয়, সবাই মিলে সময় কাটাতে। আগে দেশের বাইরে আমরা অনেকবারই গিয়েছি। থাইল্যান্ডেও গিয়েছি। সেটি শুটিংয়ের কারণে। তখন বাড়তি কোনো সময় পেতাম না। পছন্দের জায়গায় ছবি তোলা হতো না, সমুদ্রে ঘুরতে পারতাম না, একসঙ্গে কফি খাওয়া হতো না, একটু গান শোনাও হতো না– এসব নিয়ে খুবই আফসোস হতো। তখন আফসোস করে বলতাম, বড় হয়ে এই জায়গাগুলোতে আসব। এবার আগে থেকেই প্ল্যান করেছিলাম, পছন্দের জায়গাগুলোতে ঘুরব, মাইন্ড ফ্রেশ করব। সবাই একই পেশায় থাকার কারণে হয়ে উঠছিল না। ঈদের পর এবার ব্যাটে-বলে মিলে গেছে। অবসরটা দারুণ কাটিয়েছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এবার আমাদের বন্ধুত্বের প্রায় ১০ বছর উদযাপন করলাম। আমাদের ট্যুর এতটাই ভালো হয়েছে, আমরা সবাই সফল ট্যুর সেলিব্রেট করার জন্য ঢাকায় আবার এক হওয়ার পরিকল্পনাও করি। কারণ, আমাদের অনেক দিনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।