ক্যাম্পাস সংবাদ
আফিফার কেমব্রিজে পড়ার স্বপ্নপূরণ

আহমেদ জোবায়ের
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০
ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল দেশসেরা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করার। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) থেকে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করার পর কিছু দিন আগে আবেদন করেন বিশ্বখ্যাত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সব শর্ত পূরণ করলেও স্বপ্ন ছুঁতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিউশন ফি এবং মাসিক খরচ।
তবে গত ৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ (পিএমএফ) ২০২৩-২৪ পাওয়ায় স্বপ্নপূরণের পথে সে বাধাও কেটে গেছে আফিফা আনজুমের। ফেলোশিপপ্রাপ্ত এবারের ১০ জন পিএইচডি গবেষকের মধ্যে আফিফা বেসরকারি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হন। তিনি এর আগে জাবির পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে আইসিডিডিআর,বিতে সিনিয়র রিসার্চ অফিসার হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া ইউনেস্কোতে তরুণ গবেষক হিসেবে এবং গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ কোলাবোরেটর নেটওয়ার্কের সহযোগী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
আফিফা গবেষক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুদান নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা করেছেন। গবেষণার ক্ষেত্রে তাঁর আগ্রহের বিষয়গুলো হলো কিশোর-কিশোরী এবং যুবকদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং এপিডেমিওলজিক্যাল বিগ ডেটা-সংক্রান্ত গবেষণা। এ ছাড়া পিএইচডিতে গবেষণার বিষয় নির্ধারণ হয়েছে ‘বাংলাদেশের বয়ঃসন্ধিকালীন স্কুল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য একটি ইন্টারভেনশনের সম্ভাব্যতা যাচাই’। আগামী অক্টোবরে এ নিয়ে তাঁর পিএইচডি গবেষণা শুরু করবেন।
ফেলোশিপ প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, ছোটবেলা থেকে আত্মবিশ্বাস ছিলই আমি পারব। স্নাতকে ৩.৮৯ এবং স্নাতকোত্তরে ৩.৯৪ পাওয়ার পর ৯-এর মধ্যে ৮ স্কোর পেয়ে আইইএলটিএস করেছি। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, পিএইচডি শেষে দেশে ফিরে আমি বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কাজ করতে চাই। এ ছাড়া একাডেমিয়া ও গবেষণায় আত্মনিয়োগ করতে চাই।