ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

পাকিস্তানের ইতিহাসে ৩ এপ্রিল অন্ধকারতম দিন: শেহবাজ শরিফ

পাকিস্তানের ইতিহাসে ৩ এপ্রিল অন্ধকারতম দিন: শেহবাজ শরিফ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ০১:৫৪ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ | ০২:২১

পিএমএল-এন পার্টির প্রেসিডেন্ট শেহবাজ শরিফ অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে ৩ এপ্রিল অন্ধকারতম দিন হিসেবে স্মরণীয় হবে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর জিও টিভির।

শেহবাজ বলেন, ইমরান খান দেশজুড়ে ‘সিভিলিয়ান মার্শাল ল’ জারি করেছেন। তার এ পদক্ষেপ ‘অসাংবিধানিক’।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে ৩ এপ্রিল অন্ধকারতম দিন হিসেবে স্মরণীয় হবে। এর আগে জেনারেল পারভেজ মোশাররফও এ ধরনের অসাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর।

পিটিআই-এর নেতৃত্বাধীন সাবেক সরকারকে ‘ব্যক্তিকেন্দ্রীক সরকার, সর্বগ্রাসী ও ফ্যাসিস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেন শেহবাজ।

তিনি আরও বলেন, যদি কাসিম সুরি এ অনাস্থা প্রস্তাবকে ‘অসাংবিধানিক’ ঘোষণা করেন, তবে কেন বিষয়টি আগে উত্থাপিত হলো না? পিটিআই পরাজয়ের লজ্জা থেকে বাঁচতে সংবিধানের ৫ নম্বর ধারাকে ব্যবহার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিদেশ থেকে পাওয়া ‘হুমকি বার্তা’ নিয়ে কথা বলেন শেহবাজ।

তিনি বলেন, চিঠি পাওয়ার কথা বলা হয় ৭ মার্চ। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজেদের বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত ভোজসভায় ১৬ মার্চ ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়। এমনকি যাকে ইমরান খান অভিযুক্ত করেছেন, ডোনাল্ড লু তিনিও উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে। কিন্তু তিনি যদি পাকিস্তানকে হুমকিই দিয়ে থাকেন তবে তাকে কেন অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হলো? যদি এ চিঠি ৭ মার্চ পাওয়া যায় তবে কেন বিষয়টি আগে জানানো হলো না?

শেহবাজ বলেন, সাবেক ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী সব বিরোধী নেতারা বিশ্বাসঘাতকে পরিণত হয়েছেন। গতকালকের পার্লামেন্ট অধিবেশন পাকিস্তানের সংবিধান, আইন ও পার্লামেন্টকে তামাশা বানিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি, জেইউআই-এফ নেতা আসাদ মেহমুদ, এমকিউএম-পি আহ্বায়ক খালিদ মাকবুল সিদ্দিকী, বিএনপি-এম প্রধান আখতার মঙ্গল প্রমুখ।

এর আগে রোববার ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। এর পর প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রস্তাব বিবেচনায় নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। সে অনুযায়ী, দেশটিতে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

পার্লামেন্ট ভেঙে যাওয়ায় ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন।

আরও পড়ুন

×