ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে থেকে উইন্ডসর ক্যাসেলমুখী রানির কফিন

ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৫:৪৭ | আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ০৭:২০
দেশব্যাপী দুই মিনিট নিরবতা পালন ও জাতীয় সংগীত এবং রানির বাঁশীবাদক দলের বিষাদের সুর তোলার মধ্য দিয়ে দিনের মধ্যভাগে শোকসভা শেষ হয়। এখন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবে থেকে উইন্ডসর ক্যাসেলের দিকে যাত্রা করছে রানির কফিনসহ একটি শোভাযাত্রা। পথে নির্দিষ্ট কিছু গন্তব্য অতিক্রম করবে এই শোভাযাত্রা।
রানির কফিন নিয়ে এই শোভাযাত্রা হেঁটে হেঁটে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে থেকে ওয়েলিংটন আর্চ, লন্ডনের হাইড পার্কের কোনায় যাবে। এই রাস্তায় সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে। বিগ বেন থেকে এক মিনিট পর পর ঘণ্টা ধ্বনি করা হবে। শোভাযাত্রাটি খুব ধীরে ধীরে রাজধানীর রাস্তা দিয়ে যাবে। হাইড পার্ক থেকে প্রতি মিনিটে তোপধ্বনি করা হবে। সাধারণ মানুষ এই শোভাযাত্রা কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থান থেকে দেখতে পাবেন। এই শোভাযাত্রাটি রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ নেতৃত্ব দেবে। শোভাযাত্রাটি সাতটা ভাগে থাকবে। প্রতিটা ভাগের অগ্রভাগে থাকবে আলাদা বাদকদল। যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথের সৈন্যবাহিনী শোভাযাত্রায় থাকবে।
পুলিশ, ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে। রাজা আরো একবার রাজপরিবারের সদস্যদের নেতৃত্ব দেবেন। কুইন কনসর্ট ক্যামিলা, প্রিন্সেস অব ওয়েলস, কাউন্টেস অব ওয়েসেক্স এবং ডাচেস অব সাসেক্স শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন গাড়িতে চড়ে।
ওয়েলিংটন আর্চে স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে নতুন একটা রাষ্ট্রীয় শবযানে কফিনটি নেওয়া হবে উইন্ডসর ক্যাসেলের দিকে শেষ যাত্রার উদ্দেশে।
এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে শুরু হয়। রাষ্ট্রীয় এই আয়োজন পরিচালনা করেন ওয়েস্টমিনস্টারের ডিন ডেভিড হয়েল।
আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও কমনওয়েলথের সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারনেস স্কটল্যান্ড ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করে শোনান। এরপর ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি ধর্মগ্রন্থ থেকে বাণী পাঠ করেন শোনান। এরপর ১৯৪৭ সালে তৎকালীন প্রিন্সেস এলিজাবেথ এবং প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যে স্তবগান করা হয়েছিল, সেটি গাওয়া হয়।
রানি তাঁর প্রিয় স্বামীকে হারান গত বছরের এপ্রিলে। তারা ৭০ বছর ধরে বিবাহিত ছিলেন।
স্তবগানের পর ১৭ শতকের কবি হেনরি ভনের একটি গান আশার গান হিসেবে সম্মিলিতভাবে গাওয়া হয়। এরপর চার্চ নেতাদের কয়েকটি দল রানির মেধা, পরিশ্রম ও দেশ সেবার প্রশংসা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রার্থনা করে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আজকের দিনটি ব্রিটেনে আবেগঘণ ও আড়ম্বরপূর্ণ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনে এই ধরনের রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্য সর্বশেষ হয় ৬০ বছর আগে উইনস্টন চার্চিলের বিদায়ে।