ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

গবেষণা

বিলুপ্তির হুমকিতে অ্যান্টার্কটিকার ৬৫ শতাংশ প্রজাতি, আরও ঝুঁকিতে সম্রাট পেঙ্গুইন

বিলুপ্তির হুমকিতে অ্যান্টার্কটিকার ৬৫ শতাংশ প্রজাতি, আরও ঝুঁকিতে সম্রাট পেঙ্গুইন

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ২২:২১ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ২২:২২

বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে ২১০০ সালের মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের প্রাণীকূলের দুই তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৬৫ শতাংশ স্থানীয় প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বা এদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের জীববৈচিত্র রক্ষা নিয়ে কাজ করা ১২ দেশের পরিবেশবাদী, বিজ্ঞানী ও নীতিনির্ধারকদের ২৮ প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত নতুন এক গবেষণায় এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ তথ্য দিয়েছে।

প্লস বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে অ্যান্টার্কটিকার সম্রাট পেঙ্গুইনেরা। ২১০০ সাল নাগাদ এদের ৮০ শতাংশ আস্তানা বিলুপ্ত-প্রায় হয়ে যেতে পারে। আর এই পেঙ্গুইনের সংখ্যা কমতে পারে ৯০ শতাংশের বেশি।

এ পরিস্থিতি এড়াতে গবেষণায় বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমানোসহ ১০টি কৌশলগত পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করতে গেলে বছরে দুই কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের প্রয়োজন হবে। কৌশলগত পদক্ষেপগুলো নিতে পারলে অ্যান্টার্কটিকার ৮৪ শতাংশ জীবন রক্ষা করা যাবে।

গবেষণাটির প্রধান লেখক ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে’র ড. জেসমিন লি। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডে একটি পিএইচডি’র অংশ হিসেবে জেসমিন লি’র নেতৃত্বে গবেষণাটি চালানো হয়। তিনি বলেন, গবেষণা অথবা পর্যটনের মাধ্যমে অ্যান্টার্কটিকায় মানুষজনের আনাগোনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বিদেশি উদ্ভিদের প্রজাতিও বেড়ে চলেছে। 

গবেষণা প্রতিবেদনের সহ-লেখক অস্ট্রেলিয়ান অ্যান্টার্কটিক ডিভিশনের ড. অ্যালেকস টেরডস বলেন, অ্যান্টার্কটিকার জীববৈচিত্র উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে। গবেষণাটি মূলত এটিই বলতে চেয়েছে।

পৃথিবীর বড় বড় শিল্পকারখানাগুলো আপন গতিতে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন করে চলেছে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা কমানো যাচ্ছে না। উন্নত দেশগুলোর দায় এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি।

আরও পড়ুন

×