ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

চিলিতে মেট্রোর ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সহিংসতা

চিলিতে মেট্রোর ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সহিংসতা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ | ০১:২৬ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ | ০২:০৯

মেট্রোরেলের টিকিটের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে সহিংস বিক্ষোভের মুখে চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত  তারা সেখানকার বেশিরভাগ পাতাল রেল স্টেশন অবরোধ করে রাখে, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে যানবাহন না পেয়ে বিপদে পড়েন সেখানকার হাজার হাজার যাত্রী। এরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সান্তিয়াগোতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে সরকার। 

টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা পাথর ছুড়ে মারছে এবং পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করছে। এছাড় একটি বাসে আগুন দিতেও দেখা যায় তাদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে দাঙ্গাপুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে মারে।

চিলির যে অঞ্চলে এই অস্থিরতা দেখা দিয়েছে সেই শহর ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে ধনবান শহর হলেও অনেক ক্ষেত্রে বৈষম্য রয়েছে। ৬০ লাখ লোকের বসবাসের ওই শহরে জীবনযাত্রার মান দিন দিন ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে।

দেশটির রাষ্ট্রপতি সেবাস্তিয়ান পিনেরা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সরকারি ও ব্যক্তিগত জানমালের নিরাপত্তা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘মেট্রোরেলের ভাড়া বাড়ায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে মনে করেন, তাদের সঙ্গে সরকার সংলাপে বসতে চায়।’

এ মাসের শুরুতে মেট্রোরেলে পিক আওয়ারে ভ্রমণের ভাড়া এক দশমিক ১৭ ডলার (০.৯০পেসো) সমপরিমাণ বাড়ানো হয়। ভাড়া বাড়ানোর কারণ হিসেবে জ্বালানির উচ্চ মূল্য এবং ডলারের বিপরীতে পেসোর দাম কমে যাওয়ার বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়।

এর আগে এক রেডিওতে সেবাস্তিয়ান পিনেরা বলেন, ‘প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ না করে এরা ভাংচুর ও সহিংসতা করছে। এটা অন্যায়।’

চিলির তেল কোম্পানি এনেল চিলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সান্তিয়াগোর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত তাদের সদর দপ্তরের বহুতল ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা, তবে সেখানে কর্মরত সবাইকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। 

বিক্ষোভের পরেও মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বর্ধিত ভাড়া কমাবে না এবং ভাংচুরের কারণে মেট্রোরেলের সব লাইন অন্তত দুই দিন বন্ধ থাকবে।

বিক্ষোভের ঘটনায় কতজনকে আটক করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।

আরও পড়ুন

×