আটলান্টিকে নিখোঁজ ডুবোজাহাজে ছিলেন যে ধনকুবেররা

ডুবোজাহাজ টাইটান/ ছবি- ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৩ | ১০:১১ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৩ | ১০:৫৭
ডুবোজাহাজে করে আটলান্টিক মহাসাগরের সাড়ে ১২ হাজার ফুট গভীরে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন পাঁচ পর্যটক। হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজের নাম ‘টাইটান সাবমার্সিবল’। টাইটানে ৮ দিনের এই ভ্রমণের জন্য আড়াই লাখ ডলার (প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকা) খরচ করতে হয়। খবর- বিবিসি
পর্যটকদের জীবিত খুঁজে বের করতে হাতে সময় আছে আর মাত্র ২৬ ঘণ্টা। সাবমেরিনটির খোঁজে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার নৌবাহিনী এবং গভীর সাগরে কাজ করে এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
নিখোঁজ সাবমেরিনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে আছেন ৫৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ধনকুবের ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রী হ্যামিশ হাডিং। এ সপ্তাহেই সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, অবশেষে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছেন।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, গত ৪০ বছরের মধ্যে নিউফাউন্ডল্যান্ডে চরম শীতের কারণে হয়তো টাইটানিকের ভগ্নাবশেষের কাছে এটাই এই বছরের প্রথম এবং একমাত্র মনুষ্যবাহী অভিযান হতে যাচ্ছে।
তিনি আরেক পোস্টে লিখেছিলেন, চরম আবহাওয়ার মাঝখানে একটা সুযোগ পাওয়া গেছে এবং আমরা আগামীকাল সাগরে ডুব দিতে পারি।
ডুবোজাহাজের বাকিদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। যেসব সরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান এই উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে, তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ওশেনগেট। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরে একটি অভিযান চলছে আর সামনের বছর আরও দুটি অভিযান হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ধরনের ছোট আকারের ডুবোজাহাজে সাধারণত একজন চালক এবং তিনজন যাত্রী থাকে। আরেকজন থাকে ‘কনটেন্ট এক্সপার্ট’, যিনি সাগরের নিচের সবকিছু পর্যটকদের কাছে ব্যাখ্যা করেন।
কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে এই ডুবোজাহাজটি যাত্রা শুরু করেছিল। সাধারণত সাগরের তলদেশে ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসতে আট ঘণ্টার মতো সময় লাগে। ওশেনগেটের তিনটা সাবমার্সিবল থাকলেও টাইটানিকের কাছে যাওয়ার সক্ষমতা রয়েছে শুধুমাত্র টাইটানের।
যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, রোববার সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানির নিচে যাওয়ার সময় ডুবোজাহাজটিতে সাধারণত চারদিন চলার মতো জরুরি অক্সিজেন থাকে।
পোলার প্রিন্স নামের একটি জাহাজে বহন করে সাবমার্সিবল বা ছোট ডুবোজাহাজটিকে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেটি যাত্রীদের নিয়ে সাগরের গভীরে যায়। ডুবোজাহাজটি পানির নিচে যাওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টা পরই পোলার প্রিন্সের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
/এইচকে/