চীনের নতুন মানচিত্রে ক্ষুব্ধ প্রতিবেশীরা

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে বিতর্ক বহুদিনের। ফাইল ছবি: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৩ | ২৩:৫৮
চীনের নতুন মানচিত্রে ক্ষুব্ধ হয়েছে প্রতিবেশী দেশগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার ফিলিপাইন এ মানচিত্রকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এর আগে মালয়েশিয়া, ভারত ও তাইওয়ান তীব্র প্রতিবাদ জানায়। দেশগুলোর অভিযোগ, বেইজিং তাদের অঞ্চলকে নিজের বলে দাবি করেছে। ২০০৬ সাল থেকে নিয়মিতভাবে জাতীয় মানচিত্রের নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে আসছে বেইজিং। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার এটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেশী দেশগুলো এ মানচিত্রকে ত্রুটিপূর্ণ আখ্যায়িত করে আঞ্চলিক সীমানাকে ভুলভাবে উপস্থাপনের দাবি তুলে তা সংশোধনের আহ্বান জানিয়ে আসছে। খবর সিএনএনের।
মঙ্গলবার ভারত প্রথম এ মানচিত্রের প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সেখানে ভারতীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশ ও বিতর্কিত আকসাই-চীন মালভূমিকে চীনা ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করায় নয়াদিল্লি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, আমরা আজ চীনের তথাকথিত ২০২৩ সালের ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’-এর দৃঢ় প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এর কোনো ভিত্তি নেই। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও চীনের ‘একতরফা দাবি’ প্রত্যাখ্যান করেছে। নতুন মানচিত্রে স্বশাসিত তাইওয়ানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেফ লিউ বলেন, তাইওয়ান পুরোপুরি গণপ্রজাতন্ত্রী; চীনের অংশ নয়।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বেইজিং। বুধবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, সংশোধনগুলো আইন অনুসারে সার্বভৌমত্বের নিয়মিত অনুশীলন। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট দেশগুলো শান্ত এবং এর অতিরিক্ত ব্যাখ্যা করা থেকে বিরত থাকবে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জিনপিংয়ের বিরল বৈঠকের কয়েক দিন পরই আবারও সীমান্ত নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দেশ দুটি। ওই বৈঠক থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে তারা প্রচেষ্টা জোরদার করতে সম্মত হয়েছিল।
বেইজিং ও নয়াদিল্লির মধ্যে আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের রাজনীতিবিদরা সীমান্ত ইস্যুটিকে ছোট করে দেখার জন্য মোদির সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘আমি বছরের পর বছর ধরে বলে আসছি যে, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বলছেন। তিনি লাদাখে এক ইঞ্চি জমি নষ্ট হয়নি বললেও সেখানকার সবাই জানে যে, চীন আমাদের জমি দখল করেছে। এই মানচিত্র ইস্যুটি অত্যন্ত গুরুতর। প্রধানমন্ত্রীর এ বিষয়ে কথা বলা উচিত।’
- বিষয় :
- চীন
- নতুন মানচিত্র
- ক্ষুব্ধ