ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে মোদি

ছবি: রয়টার্স

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৮:০০ | আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ০১:১৭

নয়াদিল্লিতে জি২০ সম্মেলনে অংশ নিয়ে দেশে ফেরার আগে হায়দরাবাদে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ। এ সময় তারা দেশ পরিচালনায় একে অপরের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মোদি বলেন, সৌদি আরবকে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং বৃহত্তম কৌশলগত অংশীদারদের মধ্যে অন্যতম মনে করে ভারত। স্থিতিশীলতায় অঞ্চল ও বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য ভারত-সৌদি আরব অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খবর এনডিটিভির।

বৈঠকে বাণিজ্য, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ছিল প্রধান আলোচ্য বিষয়। এর আগে সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা দেওয়া হয় সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সকে। এ সময় ক্রাউন প্রিন্স বলেন, আমি ভারতে এসে খুবই আনন্দিত। আমি জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ভারতকে অভিনন্দন জানাতে চাই। দেশ পরিচালনায় যুবরাজের প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনার নেতৃত্বে এবং ভিশন ২০৩০-এর অধীনে সৌদি আরব অসাধারণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দেখেছে এবং এর জন্য আমি আপনাকে অভিনন্দন জানাই।’ জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোরে স্বাক্ষর করে সৌদি আরব। এই উদ্যোগকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে মনে করা হচ্ছে। সম্মেলনের ফাঁকে এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা যৌথভাবে এতে স্বাক্ষর করেন।

মোদি বলেন, ‘আমরা ভারত, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে একটি ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক করিডোর গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই করিডোর শুধু দুটি দেশকে সংযুক্ত করবে না– এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং ইউরোপের মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল সংযোগ প্রদানে সহায়তা করবে।’ প্রকল্পটি নির্মিত হলে আধুনিক দিনের সিল্ক রোড হিসেবে এবং কেন্দ্রীয় বাণিজ্য পথ হিসেবে কাজ করবে। ফলে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, রাজনৈতিক জোট এবং মহাদেশজুড়ে সাংস্কৃতিক একীকরণের সুবিধা হবে। ভারতের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৫২.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ভারত ত্যাগ করার আগে সোমবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করেন যুবরাজ। যুবরাজ সালমান রাত সাড়ে ৮টায় নয়াদিল্লি ত্যাগ করেন। এটি তাঁর দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় ভারত সফর।

সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার মধ্য দিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় পাকিস্তানের প্রভাব খর্বের চেষ্টা করছে ভারত। পশ্চিম এশিয়ার ওপর ভারত শুধু তেলের জন্যই নির্ভরশীল নয়, এই অঞ্চলে কর্মরত ভারতীয়ের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণেও সৌদিসহ অন্যান্য আরব দেশের সাহচর্য পাওয়া ভারতের জন্য জরুরি।

আরও পড়ুন

×