ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ইরানে পাওয়া গেলো ৪০০০ বছরের পুরোনো ‘লিপস্টিক’

ইরানে পাওয়া গেলো ৪০০০ বছরের পুরোনো ‘লিপস্টিক’

সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪ | ১০:২৯ | আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ | ১১:৩৪

দক্ষিণ-পূর্ব ইরানে পাওয়া গেছে ছোট্ট একটি পাথরের কৌটা ভর্তি প্রসাধনী, সম্ভবত লিপস্টিক, যা প্রায় ৪,০০০ বছরের পুরোনো। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো লিপস্টিকের নমুনা এটি। খবর- সিএনএন

এই পাথরের কৌটাটির ভেতরে রয়েছে গাঢ় লাল রঙের প্রসাধনী, যা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে বিভিন্ন খনিজ, যেমন হেমাটাইট, ব্রাউনাইট, ম্যাঙ্গানাইট, এবং সবজি ও অন্যান্য জৈব উপাদানে তৈরি মোমের মতো উপাদান। এছাড়া এতে এক ধরনের চকচকে উপাদানও ছিল, তবে তা সম্ভবত ঐ কৌটার গা থেকে এসেছে। কৌটাটি চকচকে ক্লোরাইট নামের এক ধরনের পাথর দিয়ে তৈরি, এর গায়ে খোদাই করা আছে অলংকরণ।

এই লিপস্টিক নিয়ে করা গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকরা লিখেছেন, বর্তমানকালে যে ধরনের লিপস্টিক ব্যবহার হয়, তার সাথে এই প্রাচীন লিপস্টিকের প্রস্তুতপ্রণালীর বেশ মিল আছে। 

নিওলিথিক যুগের শেষের দিকে এবং প্রাচীন মিশরে প্রসাধনীতে উজ্জ্বল লাল রঙের হেমাটাইট ব্যবহারের চল ছিল। 

তবে গবেষণার সাথে জড়িত ছিলেন না এমন এক গবেষক জানিয়েছেন, উপাদানের  তালিকা দেখে মনে হয় দ্রব্যটি ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। 

মিশর এবং মধ্যপ্রাচ্যে প্রত্নতত্ত্ববিদরা এমন আরও প্রসাধনী খুঁজে পেয়েছেন যার মাঝে রয়েছে গাঢ় কালো রঙের কাজল এবং হালকা রঙের আইশ্যডো বা ফাউন্ডেশন। তবে এগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে সীসা থাকত। ইরানে পাওয়া লিপস্টিকের কৌটাটিতে সীসার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম। এতে গবেষকরা ধারণা করছেন, সম্ভবত এই লিপস্টিকের প্রস্তুতকারকরা জানতেন সীসার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে। 

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, কৌটাটি লম্বা ও সরু। ফলে ব্যবহারকারী এক হাতে কৌটা ধরে অন্য হাতে একটি ব্রাশ নিয়ে তা ঠোঁটে বা গালে প্রয়োগ করতে পারতেন সহজেই। খ্রিষ্টপূর্ব ১২ শতকে মিশরিয় এক প্যাপিরাসচিত্রে এমনই এক দৃশ্য দেখা যায় বলে তারা জানিয়েছেন। 

ইরানের জিরফট এলাকায় এক বন্যার পর প্রচুর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া যায়। সেখানেই কাজ করছিলেন এ গবেষকরা। এখানে পাথর এবং তামার নিদর্শন পাওয়া গেছে, যার মাঝে ছিল এই লিপস্টিকের কৌটাটি। 

আরও পড়ুন

×