ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

দুই যুগে তাইওয়ান ভূমিকম্প সহনশীল

দুই যুগে তাইওয়ান ভূমিকম্প সহনশীল

ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২১:২৮

তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের হুয়ালিয়েন শহরে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে গত বুধবার হেলে পড়ে ১০ তলা একটি ভবন। পুরো ভবন বিধ্বস্ত না হলেও দেখতে বেশ ভীতিকর মনে হয় সেই দৃশ্য। হেলে পড়া ভবনটির চিত্র বিশ্বের সব গণমাধ্যমেই উঠে আসে। যদিও শহরটিতে অন্তত ১০ হাজার ভবন রয়েছে।

কিন্তু বড় ধরনের ভূমিকম্পের পরও দেশটিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খুব সামান্যই। কারণ, হুয়ালিয়েনের রাস্তাগুলো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, দেখা যাচ্ছে যানজট। দোকানপাট আর ক্যাফেও খোলা। শহরের মধ্য দিয়ে কেউ গাড়ি চালিয়ে গেলে এটি বুঝতেই পারবে না যে দু-তিন দিন আগে সেখানে একটি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে!

শহরটি অনেকটা অক্ষত অবস্থায়ই রয়েছে। এটি কেন এবং কীভাবে সম্ভব হলো, তা-ই এখন আলোচনার বিষয়।

তাইওয়ান প্রায়ই ফল্ট লাইনে থাকে। তবে ভূমিকম্প মোকাবিলায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে দেশটির। অনেকেই বলেন, তাইওয়ানে ১৯৯৯ সালে চি চির ভূমিকম্প ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক। সে সময় ২ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়, ভেঙে পড়ে কয়েক হাজার ভবন।

ভেঙে পড়া ভবনের মধ্যে অনেক ভবন নতুন নির্মিতও ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ওইসব ভবনের নকশায় মৌলিক ত্রুটি ছিল। ভিত্তি স্তম্ভগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী বড় ছিল না, সেগুলোর মধ্যে ইস্পাতের পরিমাণও খুব কম ছিল। এ ছাড়া নির্মাণে নানা অনিয়ম ও কেলেঙ্কারিও হয়েছিল।

চি চির ভূমিকম্পের পর বিল্ডিং কোডে পরিবর্তন আনে সরকার। এখন সব নতুন বিল্ডিংয়েই মৌলিক ভূমিকম্প প্রতিরোধের শর্ত পূরণ করতে হয়; যা নির্দিষ্ট মাত্রার কম্পন সহ্য করতে পারে।  

এ ছাড়া ভবনের ভিত্তি আপগ্রেড করার প্রয়োজন রয়েছে এমন ভবন প্রথমে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৯৯ সালের পর সিসমিক রেট্রোফিটিংয়ের কাজ শুরু করে সরকার। সাধারণত কোনো বিল্ডিংয়ের বাইরের অংশে ইস্পাত বিমের কাঠামো যুক্ত করা বা অতিরিক্ত স্তম্ভের মতো শক্তিশালীকরণ প্রক্রিয়া যুক্ত করা হয়েছে এ পদ্ধতিতে। সেতুতেও এটি করা হয়েছে।

গত বুধবারের ভূমিকম্পে অন্তত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও ১০তলা ভবনটি হেলে পড়ার কারণে মাত্র একজনের মৃত্যু হয়। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে ভূমিধস এবং শিলাখণ্ডের কারণে। এর মানে এত বড় ভূমিকম্পের পরও খুব সীমিত ক্ষতি তাদের পরিকল্পনা ও বিল্ডিং কোডের কারণেই হয়েছে। খবর সিএনএনের

আরও পড়ুন

×