রিমান্ডে নারী বন্দিদের যৌন নির্যাতন পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে বিছানায় যেতে বাধ্য করা হচ্ছে

ছবি: দ্য ওয়ার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২২:১৬
মিয়ানমারে রিমান্ডে নারীদের ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের অজুহাতে বিছানায় যেতে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। এমন একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যেগুলো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে পুলিশ।
মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের সাগাইং বিভাগের কান্তবালু টাউনশিপে পিপলস সিকিউরিটি ফোর্স পরিচালিত ২ নম্বর কারাগারে এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে। খবর ইরাবতির
জাতীয় ঐক্য সরকারের (এনইউজি) পুলিশ বাহিনী হিসেবে কাজ করে পিপলস সিকিউরিটি ফোর্স। এনইউজি কান্তবালু শহরের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় থানার ৫০ বছর বয়সী প্রধান ইয়ে ইয়েন্টের বিরুদ্ধে নারী বন্দিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি নিজ সহকর্মী নারী পুলিশ সদস্যদেরও নানাভাবে নাজেহাল করেছেন। ৩৩ বছর বয়সী নালি পুলিশ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট শাইন জারনি এমন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ইয়ে ইয়েন্ট ও শাইন– এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর জান্তা-নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে তারা এনইউজির হয়ে কাজ করছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৮ মে কারাগারে রাত্রিকালীন পরিদর্শনে গিয়ে ওয়াই ওয়াই নামে এক ২৫ বছর বয়সী নারীকে খাবার খাওয়ার জায়গায় পুলিশ কর্মকর্তা ইয়ে ইয়েন্টের সঙ্গে ঘুমাচ্ছেন বলে দেখতে পান।
পরের দিন সকালে যখন তিনি ওই নারীকে বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, ‘তিনি (ইয়ে ইয়েন্ট) যখনই আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, তখনই আমাকে তাঁর সঙ্গে ঘুমাতে বলেন।’
ওই কারাগারে যৌন অসদাচরণ এবং যৌন নির্যাতনের আরও দুটি অভিযোগ উঠেছে। ওয়াই ওয়াইসহ দুই নারী বন্দিকে ধর্ষণ করেন কান্তবালু জেলা প্রশাসনের প্রধান মিন্ট জাও ওও। এ ছাড়া এক নারী বন্দিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন অন্য কর্মকর্তা আরকার।
- বিষয় :
- মিয়ানমার
- যৌন নির্যাতন
- রিমান্ড
- পুলিশ