যুক্তরাজ্যে নির্বাচন
শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা, ভোটগ্রহণ কাল

ফাইল ছবি
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৪ | ০৫:৪৩
যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনের শেষ সময়ের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্স হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ৬৫০ সদস্যের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা। এর ভিত্তিতে নতুন সরকার গঠন হবে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত জরিপে বিরোধী দল লেবার পার্টিকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন দলটির নেতা কেয়ার স্টারমার। এমনটা হলে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী কনজারভেটিভ পার্টির ঋষি সুনাকের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
গত ১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় আছে রক্ষণশীলরা। এরমধ্যে দলটির পক্ষ থেকে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রধান এ দুই দল ছাড়াও নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রচারণার মাঠে আছে লিবারেল ডেমোক্র্যাট, রিফর্ম ইউনিয়ন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ও গ্রিনরা।
নির্বাচনে ব্যাকফুটে রয়েছে ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। সমালোচকদের বরাত দিয়ে এপি জানায়, সুনাকের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ঘাটতি রয়েছে। পাশাপাশি তিনি সাধারণ ভোটারদের কাছাকাছিও ছিলেন না। জনমত জরিপে স্কটল্যান্ডভিত্তিক দল স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিও খারাপ ফল করতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে; অর্থাৎ স্কটল্যান্ডেও লেবারদের উত্থান হতে যাচ্ছে।
বিভিন্ন জনমত জরিপ বলছে, নির্বাচনে ঐতিহাসিক জনসমর্থন পেতে যাচ্ছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে, প্রায় ২০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পেতে পারে রক্ষণশীলরা। স্কাই নিউজের জরিপের পূর্বাভাসে বলা হয়, লেবাররা মোট ভোটের ৪০ শতাংশ পাবে; আর রক্ষণশীলরা পাবে ২০ শতাংশ ভোট। এ অবস্থায় প্রচারণায় কোনো কমতি যাতে না থাকে, তার ওপর জোর দিয়েছেন স্টারমার। তিনি বৃহস্পতিবার ভোটের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রচারণায় সক্রিয় থাকতে দলের নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন হাউস অব কমন্সের ৩২৬ আসন। শেষ সময়ে তাই প্রধান দুই পক্ষ মরিয়া প্রচারণায় ব্যস্ত। সোমবার বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ঋষি সুনাক তাঁর সরকারের সাফল্যের কথা যেমন বলেছেন, তেমনি কিছু ব্যর্থতার কথাও স্বীকার করে নেন।
অন্যদিকে, লেবার নেতা কেয়ার স্টারমার জয়ে আশা প্রকাশ বলেন, কনজারভেটিভ পার্টি ক্ষমতায় ফিরে আসুক–যুক্তরাজ্যের মানুষ এ দুঃস্বপ্ন দেখতে চায় না। রাষ্ট্র পরিচালনায় কনজারভেটিভদের ব্যর্থতার কারণে লেবার পার্টি সরকার গঠন করলেও দেশকে এগিয়ে নেওয়া কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের মধ্যে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেন ঋষি সুনাক। নির্বাচনে লেবার পার্টির হয়ে প্রার্থী হয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। আশা করা যায়, লেবার পার্টি ক্ষমতায় এলে তাদের কেউ কেউ মন্ত্রিত্বও পেতে পারেন।
- বিষয় :
- যুক্তরাজ্য
- নির্বাচন
- ভোটগ্রহণ