ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

রুশ সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

রুশ সাবমেরিন ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

ফাইল ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২৪ | ০৫:৪১

অধিকৃত ক্রিমিয়া উপকূলে রাশিয়ার একটি সাবমেরিনে হামলা চালিয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন। দেশটির সেনাবাহিনী গত শনিবার এমন দাবি করেছে। সাবমেরিনটি ক্রিমিয়ার উপকূলে নোঙর করা ছিল। রুস্তভ-অন-ডন নামের কিলো ক্লাস সাবমেরিনটির যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার একটি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাবমেরিনটির ওপর হামলা চালানো হয়। এর পর এটি ডুবে যায়।

জানা গেছে, ইউক্রেন যে সাবমেরিনটি ডুবিয়ে দেওয়ার কথা বলছে, এমন চারটি সাবমেরিন কৃষ্ণ সাগরে মোতায়েন করে রেখেছে রাশিয়া। এগুলো কালিবার ক্রুস ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে সক্ষম। সাবমেরিনের ওপর হামলার ব্যাপারে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করেনি।
কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের হামলায় ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার চারটি এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস হয়েছে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ওই উপত্যকা দখল করে নিয়েছিল। 

যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গত সেপ্টেম্বরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রুস্তভ-অন-ডন ‘সম্ভবত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছিল। এটি তখন সেভাস্তপোল শিপইয়ার্ডে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের আওতায় ছিল।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, এর পর এটিকে সংস্কার করে সম্প্রতি সেভাস্তপোলের কাছে এর সক্ষমতাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর মূল্য প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে তারা। শনিবার কিয়েভে জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, রুস্তভ-অন-ডনের ধ্বংস আবারও প্রমাণ করল, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে কোনো রুশ জাহাজ নিরাপদ নয়। এতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সেভাস্তপোলের রুশ নৌবাহিনীর ওপর হামলাগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু মার্চ মাসেই দুটি জাহাজ এবং টহল নৌযানে আঘাত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। এ নিয়ে তারা অন্তত ১৫টি যুদ্ধজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, অথবা ডুবিয়ে দিয়েছে। এর মধ্যে কৃষ্ণসাগরে থাকা মস্কভাও রয়েছে।

গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছিল, বারবার হামলার কারণে মস্কো আজভ সাগর থেকে তাদের সব নৌযান প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। 
রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ সিকিউরিটি সার্ভিস- দ্য এফএসবি সম্প্রতি বলেছে, তারা বিমানবাহী রণতরী- দ্য অ্যাডমিরাল কুজনেটসভ ধ্বংসের একটি পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে। ১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করা এই জাহাজটি ২০১৮ সাল থেকে রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় আছে।

অন্যদিকে কিয়েভের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনের ড্রোনগুলো রাশিয়ার একটি বড় বিমানঘাঁটি ও তেল সংরক্ষণাগার লক্ষ্য করে হামলা করেছে। হামলাটি হয় মরোজোভস্ক বিমানঘাঁটিতে। সেখানে গাইডেড বোমা মজুত রেখেছে রাশিয়া, যা দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের শহরগুলোতে হামলা করা হয়েছে। অনলাইন ফুটেজে দেখা যায়, ওই ঘাঁটিতে শক্তিশালী বিস্ফোরণের পর ব্যাপক আগুন দেখা যায়। মনে হচ্ছিল, গোলাবারুদের মজুতে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়েছে। রাশিয়া বলেছে, বেশ কিছু ড্রোন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ওই ঘাঁটি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রুস্তভ, ক্রুস্ক ও বেলগারদ অঞ্চলে কিছু তেল সংরক্ষণাগারকেও হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটির পূর্বাঞ্চলে বেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। খবর বিবিসির। 

আরও পড়ুন

×