ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

নাসরাল্লাহকে আগেই সতর্ক করেছিলেন খামেনি

নাসরাল্লাহকে আগেই সতর্ক করেছিলেন খামেনি

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | ০৮:৪১ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৪ | ১১:১১

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি লেবাননে হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে তাঁর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেছিলেন। ইসরায়েলি হত্যা চক্রান্ত সম্পর্কে সতর্ক করে নাসরাল্লাহকে লেবানন ছেড়ে যেতে বার্তাও পাঠান খামেনি। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হওয়ার কয়েক দিন আগে এ বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। তিনটি ইরানি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের।

সূত্রটি বলেছে, ইরান সরকারের জ্যেষ্ঠ পদগুলোয় ইসরায়েল-সমর্থিত ব্যক্তিরা ঢুকে পড়েছেন কিনা, সেটা নিয়েও এখন গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। লেবাননে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পেজার, ওয়াকিটকিসহ হিজবুল্লাহর ব্যবহৃত যোগাযোগের বিভিন্ন যন্ত্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এর পরপরই হিজবুল্লাহপ্রধানকে একটি বার্তা পাঠান খামেনি। ওই বার্তায় হাসান নাসরাল্লাহকে দ্রুত লেবানন ছেড়ে ইরানে চলে আসতে বলেন তিনি।

ইরানের এক জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলিরা হিজবুল্লাহর অভ্যন্তরে ঢুকে কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করার জন্য নীল নকশা করছে– এমন গোয়েন্দা বার্তার কথাও ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পক্ষ থেকে হিজবুল্লাহপ্রধানকে জানানো হয়।

ওই সূত্রের মতে, ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নিলফোরোওশানকে লেবাননে হিজবুল্লাহপ্রধানের কাছে বার্তা দিয়ে পাঠিয়েছিলেন খামেনি। ইসরায়েল যখন বৈরুতে হাসান নাসরাল্লাহর বাঙ্কারে হামলা করে, তখন সেখানে আব্বাস নিলফোরোওশান ছিলেন। তিনিও সেখানে হিজবুল্লাহপ্রধানের সঙ্গে নিহত হয়েছেন।

হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় গত শনিবার থেকে খামেনি নিজেও অজ্ঞাত নিরাপদ জায়গায় আছেন। ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, তবে সেখান থেকেই তিনি ইসরায়েলে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান।

আইআরজিসি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হাসান নাসরাল্লাহ ও আব্বাস নিলফোরোওশানের হত্যার জবাব দিতে এ হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া গত জুলাইয়ে তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যা এবং লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল অভিযানের কথাও বলা হয়েছে। যদিও ইসরায়েল এখনও হানিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেনি।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হিজবুল্লাহর গণমাধ্যম দপ্তর এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তরে এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

×