ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি নেই

ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তি নিয়ে আলোচনায় অগ্রগতি নেই

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২০ | ০৬:২০

কোনো অগ্রগতি হয়নি ব্রিটেন-ইইউ ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তি আলোচনায়। বেক্সিট সম্পন্ন হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে বাণিজ্য কীভাবে চলবে, তা নিয়ে আলোচনার নির্ধারিত রাউন্ডের সর্বশেষ তথা চতুর্থ দফা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শুক্রবার শেষ হয়েছে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি অন্তর্বর্তী সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে কি না সে ব্যাপারেও।

করোনার কারণে দুই পক্ষের মধ্যে মুখোমুখি এই আলোচনা হয়নি। চার দিনের ভিডিও আলোচনার পরেও উভয় পক্ষেরই ব্যবসায়ের নিয়মকানুনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতানৈক্য রয়ে গেছে। ব্রিটিশ সমুদ্রসীমায় দীর্ঘমেয়াদি প্রবেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবির বিপক্ষে ব্রিটেনের দৃঢ় অবস্থানের কারণে সমঝোতা অনেক দূরই রয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান ব্রেক্সিট আলোচক মিশেল বার্নিয়ার।

ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও তাদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান আলোচক ডেভিড ফ্রন্ট বলেছেন, আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে খুব কম, তবে আলোচনা ইতিবাচক ভাষায় হয়েছে। অবশ্য আলোচনাকে অর্থবহ কোনো সাফল্যের দিকে নিয়ে যাওয়ার সূত্র এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। খবর এপি, সানডে টাইমস

ব্রিটেন আনুষ্ঠানিকভাবে ৩১ জানুয়ারিতে ২৭টি জাতিরাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেলেও বছরের শেষ পর্যন্ত ইইউ’র শুল্কমুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলেই থেকে যায়। এখনও নতুন বাস্তবতার সাথে মানিয়ে নিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে কাজ করে যাচ্ছে দেশটি। এই উত্তরণের সময়কাল দুই বছর বাড়ানো যেতে পারে। তবে এটি করার জন্য ব্রিটেনকে জুলাইয়ের মধ্যে একটি আবেদন করতে হবে।

অথচ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বারবার বলেছেন, তিনি কোনো মেয়াদ বাড়িয়ে দিতে ইইউকে বলবেন না।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ও ইইউ’র প্রধান উরসুলা ভন ডের লায়েনের সাথে বরিস জনসনের মধ্যকার একটি উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক বৈঠকে এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসন্ন অগ্রগতির সম্ভাবনা এখন সবচেয়ে বেশি। বছরের শেষের দিকে যদি উভয় পক্ষ কোনো চুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে উভয় পক্ষের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটা চাপিয়ে দেওয়া হবে। যেমন গাড়িগুলো এক পাশ থেকে অন্য পাশে রপ্তানি করা হলে ১০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হবে। এটি মহামারির পরে আরও একটি অর্থনৈতিক ধাক্কার সৃষ্টি করবে, যা ব্রিটেনকে আরো বেশি প্রভাবিত করবে বলে বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদ মনে করেন।

আরও পড়ুন

×