ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা

বিশ্ব এক দশকে প্লাস্টিক বর্জ্যে ছেয়ে যাবে

বিশ্ব এক দশকে প্লাস্টিক বর্জ্যে ছেয়ে যাবে

ছবি-দ্য গার্ডিয়ান

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ২২:১৭

প্লাস্টিকের উৎপাদন রোধ না করলে এখন থেকে এক দশকের মধ্যে প্লাস্টিকের বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব হিমশিম খাবে বলে সতর্ক করেছেন নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী অ্যান বিথ টিভিনেরেইম। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে প্লাস্টিক বর্জ্য রোধে প্রথম বৈশ্বিক চুক্তি বিষয়ে জাতিসংঘের একটি আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে এই কথা বলেন তিনি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

রুয়ান্ডা, নরওয়েসহ প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলা করতে চায় এমন ৬০টিরও বেশি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন বিথ টিভিনেরেইম। তিনি প্লাস্টিক বর্জ্য রোধে এমন একটি চুক্তির আশা করছেন, যেটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই দূষণ রোধে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে। তবে বিরোধী দেশগুলোর জন্য এমন একটি ‘পারফেক্ট ট্রিটি’ বা চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

সম্প্রতি মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের নমুনা যেমন– জরায়ু, ধমনি ও  অণ্ডকোষে মাইক্রোপ্লাস্টিক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা, যা প্লাস্টিকের ব্যাপ্তি ও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিই তুলে ধরে। প্লাস্টিক সংকট মানবস্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য ও জলবায়ুর জন্য হুমকিস্বরূপ। এ বিষয়ে ১৭৫টি দেশ একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষরের দুই বছর পার হলেও বিশ্বে এখনও ৭১২ বিলিয়ন ডলারের প্লাস্টিক শিল্প কমানোর যে অগ্রগতি থমকে আছে। বক্তব্য রাখার সময় বিথ টিভিনেরেইম প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৬০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার তিন গুণ হতে পারে। আর এর ব্যবহার সাব-সাহারান আফ্রিকা ও এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সময় নাগাদ প্লাস্টিক বর্জ্য তিন গুণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যার অর্ধেক হবে অব্যবহারযোগ্য এবং বাকি এক-পঞ্চমাংশেরও কম হবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য।

এদিকে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ধনী দেশগুলো। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও প্রতিরোধে সহায়তার জন্য এ সহায়তা দেওয়া হবে। আজারবাইজানে ওই সম্মেলন সমঝোতার জন্য অতিরিক্ত ৩৩ ঘণ্টা সময় লেগেছে। শেষ পর্যন্ত লম্বা সময় আলোচনার পর দেশগুলো এ বিষয়ে একমত হতে পারল।

জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থার প্রধান সাইমন স্টেইল বলেছেন, এটা ছিল কঠিন যাত্রা, কিন্তু আমরা চুক্তিটি করতে পেরেছি। যদিও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে আসার জন্য দেশগুলোর প্রতি যে আহ্বান গত বছর করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো চুক্তি এবারের সম্মেলনে করা যায়নি।

শনিবার উন্নয়নশীল দেশগুলো, বিশেষত জলবায়ু ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো নাটকীয়ভাবে আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসেছিল। রোববার শেষ পর্যন্ত কিছু পরিবর্তন এনে চুক্তিটি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। এ সময় করতালি ও উল্লাস করেন অনেকে। তবে ভারতীয়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছিল গভীর হতাশা থেকেই গেছে।

আরও পড়ুন

×