ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার উত্তেজনার নেপথ্যে

ছবি-বিবিসি
সমকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২৪ | ০৫:৪৬
ইউক্রেন যুদ্ধের সাম্প্রতিক ঘটনা মাঠে নয়, বরং আকাশে চলছে। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মাঝারিপাল্লার পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এ উত্তেজনা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বাধীন রাশিয়া দাবি করেছে, তারা পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। যদিও এটি পারমাণবিক ওয়ারহেড ছাড়া নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এই হামলায় ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর দনিপ্রোতে কোনো বড় ক্ষতি হয়নি। তবে, এটি একটি সপ্তাহব্যাপী পাল্টাপাল্টি হামলার ধারাবাহিকতা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার অভ্যন্তরে ব্যবহার করেছে ইউক্রেন। রুশ হামলা মূলত পশ্চিমা সামরিক সহায়তার ওপর চাপ সৃষ্টি করার হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলাগুলো রণক্ষেত্রের লড়াইয়ে তেমন প্রভাব ফেলছে না। বরং, এগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের জন্য পরিচালিত হচ্ছে। ইউক্রেন একটি শক্তিশালী অবস্থান অর্জন করে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে যেতে চাচ্ছে, আর রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের হুমকি বাড়িয়ে উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে রাশিয়ার এই পদক্ষেপগুলো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে রাশিয়ার ব্যাপক ড্রোন হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। রোববার তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী গত রাতে বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়ার ছোড়া ৭৩টি ড্রোনের মধ্যে ৫০টি ভূপাতিত করেছে। এই সপ্তাহে ইউক্রেনজুড়ে প্রতিদিনই প্রায় বিমান হামলার সতর্কতা বাজছে বলেন তিনি।
অন্যদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ বাল্টিক অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। এ অবস্থায় নিজেদের জরুরি প্রস্তুতির নির্দেশিকা হালনাগাদ করার পদক্ষেপ নিয়েছে নর্ডিক দেশগুলো। রাশিয়ার আক্রমণের শিকার হওয়ার আশঙ্কা দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছে সুইডেন, ফিনল্যান্ড ও নরওয়ে। সেই আশঙ্কা থেকে দেশগুলো সম্প্রতি তাদের সামরিক শক্তি ও প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি করেছে। সেই সঙ্গে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটোতে যোগদানের জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও রয়টার্সের।
- বিষয় :
- ইউক্রেন
- রাশিয়া
- ক্ষেপণাস্ত্র