ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

পিপিপি ঋণ জালিয়াতি

যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত চার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, গ্রেপ্তার ২

নজরদারিতে আরও ২০ জন

যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত চার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, গ্রেপ্তার ২

প্রতীকী ছবি

নিউইয়র্ক প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৯:৪৭

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারিতে প্রতারণার মাধ্যমে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জরুরিভিত্তিতে পে-চেক প্রটেকশন প্রোগ্রামের (পিপিপি) আওতায় যে ঋণ সুবিধা পেয়েছিলেন, তা ফেরত প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভুয়া কর্মচারীর বিপরীতে পিপিপি ঋণ নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী ব্যক্তিগত কাজে লাগিয়েছেন। ঋণের অর্থ দিয়ে বিলাসবহুল বাড়ি ও গাড়ি কেনার প্রতিযোগিতা করেছেন। এ ধরনের ঘটনায় জড়িত চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন দু’জন। ফেডারেল গোয়েন্দাদের নজরদারিতে রয়েছেন আরও ২০ জন।

পিপিপির আওতায় প্রায় আড়াই লাখ ডলার ঋণ নিয়ে বাড়ি কেনার অভিযোগ উঠেছে জ্যামাইকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির নামে বাংলাদেশি এক উবারচালকের বিরুদ্ধে। পিপিপির অর্থ দিয়ে তিনি নায়াগ্রা জলপ্রপাত এলাকায় তিনটি বাড়ি কিনেছেন– এমন অভিযোগ এনে মামলা করেছে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি কার্যালয়। মামলার খবর পেয়ে গত ২১ নভেম্বর কুইন্স কাউন্টির ১০৩ পুলিশ স্টেশনে আত্মসমর্পণ করেন হুমায়ূন। পরে তাকে কুইন্স ক্রিমিনাল কোর্টে হাজির করা হয়। আগামী ২৬ জানুয়ারি হাজিরা দেওয়ার শর্তে তাকে জামিন দিয়েছেন আদালত।

এর আগে প্রায় এক মিলিয়ন ঋণ নিয়ে জালিয়াতি ও প্রতারণার দায়ে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে বাংলাদেশি নির্মাণ ঠিকাদার বাবা-ছেলে অভিযুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন– নিউইয়র্কে আঞ্চলিক সংগঠন সন্দ্বীপ সোসাইটির বর্তমান উপদেষ্টা নূরুস সাফা ও তার ছেলে মাইদা সাফা। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঋণ নিয়ে দুটি বাড়ি ও বিলাসবহুল বিএমডবিডব্লিউ গাড়ি কেনেন তারা। অভিযোগ প্রমাণ হলে এই মামলায় তাদের ১০ থেকে ২৫ বছরের সাজা হতে পারে।

এদিকে গত ১৯ নভেম্বর নূর নবী চৌধুরী নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিউইয়র্কে ব্রুকলিনে ফেডারেল আদালতে দুই বাংলাদেশি অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁর ভাই মোহাম্মদ রহমান ঢাকায় থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ‘২৪৭/টিভি স্ট্রিম’ নামে অবৈধ লাইভ স্ট্রিম চালাতেন। এর জন্য মাসিক ফি নিতেন। এর মধ্যে কপিরাইট ছাড়া লাইভ স্পোর্টস প্রোগ্রামিং ও বিভিন্ন টেলিভিশন শো প্রচার করতেন।

ঋণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করা হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে গত বছরের মার্চ থেকে তদন্তে নামে নিউইয়র্ক স্টেট ফ্যাইন্যান্সিয়াল ডিপার্টমেন্টের গোয়েন্দারা। এফবিআইসহ অন্যান্য সংস্থাও এই তদন্তে শামিল হয়েছে।

আরও পড়ুন

×