প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট শুরু

ছবি: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪:৩০
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসনের প্রস্তাবের ওপর ভোট শুরু হয়েছে।
শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে দেশটির সংসদে ভোট দেওয়া শুরু করেছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। খবর রয়টার্সের।
তবে নতুন এই অভিশংসন প্রস্তাব ব্যর্থ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অটল রয়েছে। তবে পিপিপির ৭ জন সদস্য প্রকাশ্যে বলেছেন, তারা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেবেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের বিরোধী দল সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাদের সংসদে ১৯২টি আসন রয়েছে। তবে ৩০০ আসনের সংসদে অভিশংসন প্রস্তাব পাস করাতে ক্ষমতাসীন দলের অন্তত আটজন সদস্যের ভোট তাদের প্রয়োজন হবে।
এর আগে ৩ ডিসেম্বর সামরিক শাসন ঘোষণা করলে মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট ইউন। ইউনের আদেশের বিরোধিতা করে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধীদলীয় সদস্যরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিল। তাদের ভোট আর জনগণের বিক্ষোভের কারণে সামরিক শাসন উঠিয়ে নিতে বাধ্য হন প্রেসিডেন্ট। এরপর থেকেই ইউনের পদত্যাগের জন্য দেশব্যাপী দাবি উঠেছে।
এক সপ্তাহ আগে আয়োজিত প্রথম অভিশংসন ভোট বর্জন করে ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দল, পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে গেলেও এবারও অভিশংসনের মুখোমুখি হচ্ছেন ইউন। দেশটির পিপিপি নেতা হান ডং-হুন অভিশংসন ভোটে সমর্থনের জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৭ জন পিপিপি সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
অভিশংসন প্রস্তাব পাস করাতে পিপিপির অন্তত আটটি ভোট প্রয়োজন বিরোধী দলগুলোর। পার্লামেন্টে ৩০০টি আসনের মধ্যে বিরোধী দলের দখলে রয়েছে ১৯২টি আসন। অভিশংসনের জন্য দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন।
শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে পিপিপির আইনপ্রণেতা আহন চেওল-সু ইউনের অভিশংসন সমর্থন করে বলেছেন, জীবনযাত্রা, অর্থনীতি ও কূটনীতির দ্রুত স্থিতিশীলতার জন্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেব।
এদিকে শনিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টি জানিয়েছে, ইউনের উন্মাদনা আর সহ্য করা সম্ভব নয়। শনিবার সকালে এক দলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। ইউনের বিষয়ে তাদের অবস্থান একই থাকবে না পরিবর্তিত হবে, সে বিষয়ে আলোচনা করবেন আইনপ্রণেতারা।
ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলটি বলেছে, অভিশংসন প্রত্যাখ্যান করা জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা।
- বিষয় :
- দক্ষিণ কোরিয়া
- প্রেসিডেন্ট
- অভিশংসন