ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

দেহাংশগুলো সাবেক এমপি আজীমেরই

ডিএনএ মিলেছে মেয়ের সঙ্গে

দেহাংশগুলো সাবেক এমপি আজীমেরই

আনোয়ারুল আজীম

 কলকাতা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০০:২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড দেহাংশ ও হাড়ের টুকরো বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারেরই। দেহাংশ থেকে নেওয়া ডিএনএ পরীক্ষা করে আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। গত নভেম্বরের শেষ দিকে ডরিন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় গিয়েছিলেন। তখন তাঁর ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। তারপর দুটি নমুনাই যাচাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল ভারতের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে।  

সাবেক এমপি আনার কলকাতার যে আবাসনে খুন হয়েছিলেন, সেই সঞ্জীভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে গত মে মাসে উদ্ধার করা হয় প্রায় চার কেজি মাংস। অন্যদিকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কৃষ্ণমূর্তি এলাকার ভাঙ্গরের বাগজোলা খাল থেকে উদ্ধার হয় মানবদেহের একাধিক হাড়। পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সূত্র বলছে, উদ্ধারকৃত ওই মাংস ও হাড় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (সিএফএসএল)। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়, খণ্ডবিখণ্ড দেহাংশ একজন পুরুষের। তবে সেসব আনারের কিনা, তা নিশ্চিত হতেই ডিএনএ পরীক্ষা জরুরি ছিল। সে ক্ষেত্রে অনেক আগেই আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনের কলকাতায় যাওয়ায় কথা থাকলেও নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। অবশেষে গত নভেম্বরে কলকাতা গিয়ে তিনি সিআইডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ডিএনএ নমুনা জমা দেন। 

গত ১২ মে ভারতে যান তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার। ওঠেন পূর্বপরিচিত গোপাল বিশ্বাসের পশ্চিমবঙ্গের বরানগরের বাড়িতে। পরদিন ১৩ মে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে গোপালের বাড়ি থেকে বের হন তিনি। কিন্তু ওই দিন রাতেই নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনের বহুতল আবাসনের ‘বিইউ-৫৬’ ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে আনার খুন হন। তদন্তে জানা যায়, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক আখতারুজ্জামান শাহীন এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী।

তাঁর নির্দেশেই জিহাদ হাওলাদার ওরফে কসাই জিহাদসহ চারজন আনারকে ওই আবাসনে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি নাগরিক সিয়াম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, আনারকে খুন ও লাশ খণ্ডবিখণ্ড করে গুমের চেষ্টায় যুক্ত ছিল সে। সঞ্জীবা গার্ডেনের সিসিটিভি ফুটেজেও সিয়ামকে দেখা যায়। গ্রেপ্তার করা হয় কসাই জিহাদকেও। তারা লাশের টুকরোগুলো দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভাঙ্গড় ব্লকের কৃষ্ণমাটি খাল এলাকায় ফেলে দিয়েছিল। 

আরও পড়ুন

×