ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

বাশারের স্ত্রী ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেননি: ক্রেমলিন

বাশারের স্ত্রী ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেননি: ক্রেমলিন

ছবি: বিবিসি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:৩১ | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২১:৩৮

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত স্ত্রী আসমা আল-আসাদ ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেননি বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি

এর আগে তুর্কি ও আরব মিডিয়ার বরাত দিয়ে দ্য জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছিল- সিরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চান স্ত্রী আসমা। শুধু তাই নয়, বিচ্ছেদের পর তিনি রাশিয়া ছেড়ে লন্ডনে যেতে চান।

বর্তমানে পরিবার নিয়ে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন আসাদ। সম্প্রতি বিদ্রোহী বাহিনীগুলো দামেস্ক দখল করে নিলে তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।

সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক সংবাদ সম্মেলনে আসাদ পত্নীর বিবাহ বিচ্ছেদ আবেদনের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘না, এই তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’

বাশার আল-আসাদ মস্কোতে আটক রয়েছেন বা তার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, এমন খবরগুলোও মিথ্যা বলে দাবি করেন পেসকভ।

আসমা আল-আসাদ সিরিয়া ও ব্রিটেনের দ্বৈত নাগরিক। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানান, আসমা চাইলেও তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে না। ব্রিটিশ সংসদে ল্যামি বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আসমা একজন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং যুক্তরাজ্যে স্বাগত নন।’

জানা যায়, ২০০০ সালে বাশার আল-আসাদকে বিয়ের মাধ্যমে সিরিয়ার ফার্স্টল্যাডি হন আসমা আল-আসাদ। এরপর থেকে ২৪ বছর ধরে তিনি সিরিয়ার ফার্স্টল্যাডির ভূমিকা পালন করেন।

পশ্চিমা গণমাধ্যমে বরাবরই আসমা আসাদের প্রতি কৌতূহল ছিল। ২০১১ সালে ভগ পত্রিকা তাঁকে ‘মরুভূমির গোলাপ’ আখ্যা দেয়। তবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার ঠিক এক মাস পরই আসমার সমালোচনা শুরু হয়। কারণ তিনি তার স্বামীর দ্বারা গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের দমন নিয়ে নীরব ছিলেন।

আরও পড়ুন

×