ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

তুরস্কে বিক্ষোভ চলছেই

জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন, বলছেন এরদোয়ান

তুরস্কে বিক্ষোভ চলছেই

ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫ | ০৫:৩৮

তুরস্কের ইস্তাম্বুলের মেয়র ও প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর গ্রেপ্তার নিয়ে গত সোমবার রাতে ষষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে। এরদোয়ান এ বিক্ষোভকে ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’ বলে মন্তব্য করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি প্রধান বিরোধী দলকে পুলিশের ওপর হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের জন্য জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন।

ইমামোগলু তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা। তিনি ও তাঁর সমর্থকদের দাবি, ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অগণতান্ত্রিক। গতকাল মঙ্গলবার রয়টার্স জানায়, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে। এতে অংশ নিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে চলছে ধড়পাকড়ও। গত পাঁচ দিনে অন্তত ১ হাজার ১৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাংবাদিকও আছেন। শত শত কর্মী সমর্থকের এক্স অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে। এক সাংবাদিককে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আন্দোলনের পাঁচ দিনে ১২৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  

দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন জানায়, রাজধানী আঙ্কারায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে কথা বলেছেন এরদোয়ান। তিনি এ বিক্ষোভকে ‘জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বিরোধী দল সিএইচপির বিরুদ্ধে আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ আনেন। তবে দলটি এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 

গ্রেপ্তার সত্ত্বেও গত সোমবার সিএইচপি তুরস্কের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইমামোগলুকে দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ২০২৮ সালে ওই নির্বাচন হলেও তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদের দলীয় মনোনয়ন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। সমালোচকরা বলছেন, সিএইচপি নেতার কাছে হারের ভয়ে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার আগেই এরদোয়ান তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন। 

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সিংহভাগই তরুণ। তাদের অনেকেই এরদোয়ান ছাড়া তুরস্কের আর কোনো প্রেসিডেন্টকে দেখেননি। তারাই মূলত এ বিক্ষোভের প্রাণশক্তি হিসেবে কাজ করছেন। 

আরও পড়ুন

×