ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য ‘অযৌক্তিক’

রণধীর জয়সওয়াল

 কলকাতা প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ০০:৫৮ | আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ১১:১৩

ওয়াক্‌ফ আইন ঘিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে বাংলাদেশের মন্তব্যকে ‘অযৌক্তিক’ মনে করে ভারত। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। 

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ‘পূর্ণ নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ। এদিন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা ভারত সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীর পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।’ 

শফিকুল আলমের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবারের বিবৃতিতে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ঘটনায় বাংলাদেশের তরফ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর চলমান নির্যাতনের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগের সঙ্গে তুলনা করার জন্য এটি একটি ছদ্মবেশী ও ছলনাপূর্ণ প্রচেষ্টা। সেখানে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ীরা এখনও মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অযৌক্তিক মন্তব্য এবং পরামর্শ দেওয়ার পরিবর্তে বাংলাদেশের উচিত, নিজস্ব সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার দিকে মনোনিবেশ করা।’ 

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে মুসলিম-অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় নতুন ওয়াক্‌ফ আইন নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হুগলি জেলায়ও এই বিক্ষোভ হয়। এসব বিক্ষোভে অগ্নিসংযোগ, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও রাস্তা অবরোধের ঘটনা ঘটে। 

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক তদন্তে সহিংসতায় বাংলাদেশি দুর্বৃত্তদের জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেওয়া হয়। এ অভিযোগের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মুর্শিদাবাদের সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর ভারতীয় প্রচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং প্রতিবেশী দেশটিকে সেখানকার সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠীকে ‘সম্পূর্ণ সুরক্ষা’ দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায়। 

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসসের কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান তুলে ধরে বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় বাংলাদেশকে জড়ানোর যে কোনো চেষ্টাকে আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি।’ 

আরও পড়ুন

×