পশ্চিমবঙ্গে পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত সন্ন্যাসীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ
আইন কলেজে ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি: ইন্ডিয়া টুডে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫ | ২১:৫৬
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পদ্মশ্রী খেতাব পাওয়া বিতর্কিত সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ ওরফে স্বামী প্রদীপ্তানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক নারী। তিনি দাবি করেছেন, ২০১৩ সাল থেকে বহুবার তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কার্তিক মহারাজ একটি বিদ্যালয়ে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর ওপর যৌন নির্যাতন চালান।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার ভারত সেবাশ্রম সংঘের সঙ্গে যুক্ত কার্তিক মহারাজ। তবে তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, ‘আমার সম্মানহানি করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ এ বছর ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন কার্তিক। খবর ইন্ডিয়া টুডের
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে নবগ্রাম থানায় করা মামলায় ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে তাঁকে ‘চানাক আদিবাসী আবাসিক বালিকা বিদ্যালয়ে’ চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন কার্তিক মহারাজ। এরপর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে স্কুলের হোস্টেলে থাকতে দেওয়া হয়। ওই নারীর অভিযোগ, এর পর প্রায় প্রতিদিনই তাঁকে স্কুল ভবনের পাঁচতলায় নিয়ে ধর্ষণ করতেন কার্তিক। আশ্রমেও কার্তিক মহারাজ বহুবার তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। এমনকি তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে জোর করে গর্ভপাত করানো হয় বলেও দাবি করেছেন তিনি।
কার্তিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন একসময়ে এসেছে, যখন পশ্চিমবঙ্গে আরেকটি ধর্ষণের ঘটনায় রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। দক্ষিণ কলকাতার একটি আইন কলেজে এক ছাত্রী দুই সহপাঠী ও এক স্টাফ কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার বিকেলে ওই ছাত্রী কলেজে ফরম পূরণের কাজে গেলে অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র (৩১) নামের এক কলেজ কর্মচারী তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলে ওই ছাত্রী কলেজ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁকে জোর করে একটি রুমে নিয়ে ওই কর্মচারী এবং কলেজের দুই ছাত্র জইব আহমেদ (১৯) ও প্রমিত মুখার্জি (২০) দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়ি ফিরে পরদিন বৃহস্পতিবার স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী।
অভিযুক্ত কলেজ কর্মচারী মনোজিৎ মিশ্র একই কলেজের তৃণমূল কংগ্রেসের যুব শাখার সাবেক সভাপতি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বর্তমানে তাঁর কোনো পদ নেই। তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তির দাবিও জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।