ঢাকা বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন

ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন

মঙ্গলবার ইরানের সংসদে নতুন এ আইন পাস হয়

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০২৫ | ২২:৪৭

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। ইসরায়েল ছাড়াও অন্য ‘শত্রু’ দেশগুলোর সঙ্গেও ইরানের কোনো মানুষ যোগাযোগ রাখতে পারবে না। মঙ্গলবার ইরানের সংসদে নতুন এ আইন পাস হয়েছে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালানো, গুপ্তচরগিরি; ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য শত্রু দেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ‘পৃথিবীতে দুর্নীতির’ অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যার শাস্তি হলো মৃত্যুদণ্ড। বিশেষভাবে ইসরায়েলের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, যারা ইসরায়েলকে সামরিক, আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে হবে।

অন্যদিকে, স্টারলিংকসহ অন্যান্য অননুমোদিত ইন্টারনেট সেবার সরঞ্জাম ক্রয়, বিক্রি ও কাছে রাখা গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। কেউ এ অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাকে ছয় মাস থেকে দুই বছরের কারাদণ্ড পেতে হবে। আর যারা এসব নিষিদ্ধ যন্ত্রাংশ ১০টির বেশি উৎপাদন বা আমদানি করবে, তাদের ৫ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।

রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়েছেন জি৭ ভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। সেই সঙ্গে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তির উদ্দেশ্যে আলোচনা পুনরায় শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন তারা। সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান তারা। 

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি নতুন কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে চলতি বছরের এপ্রিল থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটন আলোচনা চালিয়ে আসছে। তেহরান বলছে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তবে ইসরায়েল ও তার মিত্ররা নিশ্চিত করতে চায়, ইরান যেন কোনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে।

ইসরায়েলি আক্রমণের জবাবে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দখলদার দেশটির কমপক্ষে ৩১ হাজার ভবন ও ৪ হাজার যানবাহন ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার ইরানের সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট ডেফা প্রেসের বরাত দিয়ে এ তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা মেহের। 

ডেফা প্রেস বলছে, এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, সংঘাতের সময় ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ‘বিশাল ও অপূরণীয় ক্ষতি’ করেছে। 

আরও পড়ুন

×