ইরানে ট্রাম্পের ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ নীতি ব্যর্থ : ওয়াশিংটন পোস্ট

ইরানের ওপর ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি ব্যর্থ হয়েছে। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি তিনি। তেহরানকে ফের পরমাণু আলোচনায় বসতে বাধ্য করা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় এরকম মন্তব্য করা হয়েছে।

দৈনিকটির মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ইরানকে মধ্যপ্রাচ্যে কথিত ‘আগ্রাসী তৎপরতা’ চালানো থেকে বিরত রাখতেও ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে ইরানের সরকার ব্যবস্থারও পতন ঘটানো যায়নি উল্টো এই নীতি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থকে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ইরান এখন নিজের অর্থনীতি বাঁচাতে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে এখন মধ্যপ্রাচ্যে চীন নিজের প্রভাব বলয় বিস্তার করার সুযোগ পাবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সেটা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। খবর পার্স টুডে’র

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি গতমাসে চীনের সঙ্গে একটি সমঝোতা সই করতে সম্মত হয়েছেন যার ফলে ইরানের অর্থনীতিতে হাজার হাজার কোটি ডলারের পুঁজি বিনিয়োগ করবে চীন। এই সমঝোতা চূড়ান্তভাবে স্বাক্ষরের আগে অবশ্য ইরানের পার্লামেন্টে অনুমোদিত হতে হবে।

ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে; চীনের সঙ্গে ইরানের এই ঘনিষ্ঠতা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে। সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করে শুধু যে ইরানকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে ফেলা যায়নি তাই নয় সেইসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্বে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নিয়ে একই বছরের নভেম্বরে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ট্রাম্প দাবি করেন, ইরানকে আরেকটি পরমাণু সমঝোতা সই করার লক্ষ্যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য করার লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি এ পদক্ষেপের নাম দিয়েছিলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি।

কিন্তু তার ওই পদক্ষেপ কাজের কাজ কিছুই করতে পারেনি। বরং মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটিকে ঠেলে দিতে চলেছে অর্থনৈতিক ও ভূরাজনৈতিক  প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের দিকে।  নভেম্বরের নির্বাচনে জেতার খুব আশা করছেন ট্রাম্প। তবে নির্বাচকমণ্ডলী তার যোগ্যতার বিচার  যেসব কাজ দেখে করবেন, তার মধ্যে তার ইরান নীতিও থাকবে।