পাপুল কেলেঙ্কারি: ঘুষ দিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করেন ৫ হাজার পাকিস্তানি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২০ | ১০:৩৮ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ | ১০:৫৩
কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগের দেশটির শ্রমিকদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছে, দেশটিতে ৫ হাজার পাকিস্তানি ঘুষ দিয়ে প্রবেশ করেছেন। ওই কাগজপত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল শেখ মাজেন আল জারাহ সই ও ইস্যু করেছিলেন। কুয়েতি সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ এ খবর প্রকাশ করেছে।
ওই খবরে বলা হয়, নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট সংক্রান্ত ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সব লেনদেন সংশোধন করার জন্য কুয়েত এসব কাগজপত্র বাতিল করে দিয়েছে। কারণ এই সময়ে আল জারাহ বিভাগটির দায়িত্বে ছিলেন।
আল জারাহ'র বিরুদ্ধে বাংলাদেশি এমপি কাজী শহীদুল ইসলাম পাপুলের সঙ্গে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে কুয়েতে হাজার হাজার বাংলাদেশিকে ওয়ার্ক পারমিটের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
পাপলুর সঙ্গে কী পরিমান অর্থ লেনদেন হয়েছে তা নির্ধারণ করার জন্য দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আল জারাহর স্বাক্ষর করা সব কাগজপত্র পর্যালোচনা করছে।
সূত্র জানায়, কুয়েতে ইরাকি ও সিরিয়ানদের কুয়েতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও আল জারাহ এক হাজার ইরাকি ও শত শত সিরিয়ানকে ভিজিট ভিসায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য কাগজে সই করেছিলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশি এমপি পাপলু ও মেজর জেনারেল মাজেন আল জারাহ মানব পাচার, অর্থ পাচার ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। এর আগে পাপুল কাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আল জারাহকে বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া পাপুলের অর্থ ও মানব পাচারে সহযোগিতা করার অভিযোগে কুয়েতের দুই এমপিকে আটক করে দেশটির অপরাধ তদন্ত সংস্থা।
বাংলাদেশের এমপি ও কুয়েতের রেসিডেন্ট পারমিটধারী ব্যবসায়ী কাজী শহীদ পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েত সিটির মুশরিফ এলাকার বাসা থেকে আটক করে সেদেশের সিআইডি। পরে তার বিরুদ্ধে মানব পাচার ও প্রায় ৫৩ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা) পাচারের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তারের পর এমপি পাপুল কুয়েতের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এরই মধ্যে তার ব্যবাসায়িক প্রতিষ্ঠান মারাফি কুয়েতের অ্যাকাউন্টে থাকা প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করার জন্যও উদ্যোগ নিয়েছে কুয়েত সরকার।
- বিষয় :
- এমপি পাপলু
- কুয়েত
- মানব পাচার
- অর্থ পাচার