ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর হলেন দুই বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রে কংগ্রেসম্যান ও সিনেটর হলেন দুই বাংলাদেশি

শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন ও আবুল বি খান

তোফাজ্জল লিটন, নিউইয়র্ক

প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২০ | ১১:১২ | আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ | ১১:৫৮

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সিনেটর পদে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন ও প্রতিনিধি পরিষদে আবুল বি খান বিজয়ী হয়েছেন। কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ চন্দন দ্বিতীয়বারের মতো সিনেটর পদে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের নরক্রস, লিলবার্ন ও লরেন্সভিল নিয়ে গঠিত ডিস্ট্রিক্ট-৫ আসন থেকে নির্বাচিত হন। এর আগে একই আসন থেকে তিনি প্রথমবারের মতো সিনেটর নির্বাচিত হন।

১৯৫৫ সালে তৎকালীন ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ মহকুমার বাজিতপুর থানার সরারচরে পৈতৃক বাড়িতে শেখ মোজাহিদুর রহমান চন্দন জন্মগ্রহণ করেন। মরহুম নজিবুর রহমান এবং সৈয়দা হাজেরা খাতুন দম্পতির চতুর্থ সন্তান তিনি। চন্দনের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

চন্দনের ছোট ভাই কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সহসভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, বড় ভাইয়ের বিজয়ে পরিবার, আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার সবাই আনন্দিত।

শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল জানান, ১৯৮০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যান চন্দন। ছাত্রজীবনেই তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন।

পিরোজপুরের সন্তান আবুল বি খান নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্য থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে টানা চারবার নির্বাচিত হলেন এই রিপাবলিকান নেতা। আবুল খান বলেন, সব সময় বাংলাদেশ নিয়ে ভাবি। বাংলাদেশি আমেরিকানদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই সামনে এগোচ্ছি।

এছাড়া টেক্সাসের অস্টিন নিয়ে গঠিত কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট-৩১ থেকে প্রার্থী হন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডোনা ইমাম। তবে তিনি হেরে গেছেন। ডেমোক্র্যাট দলীয় এই প্রার্থী ভোট পেয়েছেন এক লাখ ৭৪ হাজার ৩৯৪টি বা ৪৪.৩ শতাংশ। বিজয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী জন কারটার পেয়েছেন দুই লাখ ১০ হাজার ৭৬৮ বা ৫৩.৫ শতাংশ ভোট। 

পেনসিলভানিয়া রাজ্যের অডিটর জেনারেল পদে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নামেন আরেক বাংলাদেশি ড. নীনা আহমেদ। তবে তার জয়-পরাজয়ের বিষয়ে এখনও জানা যায়নি।

ড. নীনা ইতোমধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এশিয়াবিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। ফিলাডেলফিয়ার মতো বড় একটি শহরের ডেপুটি মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছেন অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে। দীর্ঘ তিন দশকের বেশি সময় ধরে অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কাজের পাশাপাশি সততা ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসা ড. নীনার পক্ষে প্রবাসীদের মধ্যেও ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন

×