ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

মহাশূন্যে মুলা চাষ

মহাশূন্যে মুলা চাষ

ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:৪৬

মহাশূন্যে মাটি-পানি নেই। মাধ্যাকর্ষণ শক্তিও নেই বললেই চলে। ইতিহাস রচনা করে সেখানেই মুলা চাষে সফল হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। মহাশূন্যে পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের প্রতিকূল পরিবেশে তারা এই সাফল্য পেয়েছে। বলা হচ্ছে, চাঁদ ও মঙ্গলে মানুষের বসতি স্থাপনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ ব্যবস্থায় মহাশূন্যে সবজি চাষ করা হচ্ছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন মহাকাশ মিশনে মাসের পর মাস কাটাতে হয় নভোচারীদের। সেখানে তারা যাতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পান তার জন্যও মহাশূন্যে চাষবাসের চেষ্টা চলছিল বহুদিন ধরেই। অবশেষে মুলা চাষের মাধ্যমে তাতে সাফল্য এলো।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি মহাকাশ স্টেশনে মুলার বীজ থেকে গাছ গজিয়ে ওঠার ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। ছবিতে একটি চৌকো আকারের বাপে নানা ধরনের তারের মাঝখানে ২০টি চারাগাছ দেখা গেছে। কিন্তু পৃথিবীতে এত রকমের ফসল থাকতে কেন মুলাকেই বেছে নেওয়া হলো, তার পক্ষেও যুক্তি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা জানান, মুলা চাষ করতে খুব বেশি সময় লাগে না। আর মুলা কাঁচাই চিবিয়ে খাওয়া যায়, আবার এর পুষ্টিগুণও বেশি। তাই মহাশূন্যে মুলা চাষের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর কিছু দিন পরেই মাটি খুঁড়ে মুলা তোলা হবে। শুধু তা-ই নয়, মহাশূন্যে উৎপাদিত এই মুলার নমুনা স্বাদ পরীক্ষার জন্য পৃথিবীতে আনা হবে। তবে মহাকাশে মুলা চাষ মোটেই সহজসাধ্য ছিল না বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি না থাকায় শিকড় মাটিতে প্রবেশ করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। প্রথমে মাটির বেড তৈরি করে তাতে বীজ পুঁতে দেওয়া হয়। তা থেকে চারা বেড়ে ওঠে।

গবেষণায় দেখা গেছে, নীল এবং লাল আলোতে গাছ সবচেয়ে ভালো সাড়া দেয়। এজন্য ওই বাক্সের মধ্যে এলইডি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ১৮০-এর বেশি সেন্সর বসানো হয়েছে। বর্তমানে ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গাছগুলোর বেড়ে ওঠার প্রতি নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। প্রয়োজন বুঝে পানি, সার এবং তাপমাত্রার পরিবর্তনও তাদের নজরদারিতেই হয়।

আরও পড়ুন

×