ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে আরব দেশ মরক্কো

এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করছে আরব দেশ মরক্কো

মরক্কোর বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২০ | ০১:৪২

এবার ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে আরব দেশ মরক্কো। দেশটি জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী, বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের ওপর মরক্কোর দাবির স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ চুক্তির কঠোর সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনি।

ওই অঞ্চল নিয়ে মরক্কো ও আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসারিও ফ্রন্টের মধ্যে বিরোধ চলছে। পলিসারিও ফ্রন্ট সেখানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। খবর বিবিসির।

গত অগাস্টের পর থেকে মরক্কো চতুর্থ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তি করছে। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান এমন চুক্তি করেছে। মিসর ও জর্ডানের পর আরব লীগের ষষ্ঠ সদস্য হিসেবে মরক্কো, ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পদক্ষেপ নিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার টুইটারে এ চুক্তির কথা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের দুই মহান বন্ধু ইসরায়েল ও মরক্কো পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রযাত্রা।'

চুক্তি অনুযায়ী, ২০০০ সালে তেল আবিব ও রাবাতে বন্ধ করে দেওয়া দুই দেশের লিয়াজো অফিসগুলো আবার চালু করা হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলিদের জন্য সরাসরি বিমান চলাচলেরও অনুমোদন দেবে মরক্কো।

এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে মরক্কোর বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আর মরক্কোর বাদশাহর প্রাসাদ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোন আলোচনায় সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বাদশাহ সম্মতি দিয়েছেন।

মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনও চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন, এই পদক্ষেপ তাদের অধিকার হরণে ইসরায়েলকে আরও উৎসাহিত করবে।

আরও পড়ুন

×