গর্ভে শিশুর দেহেও প্লাস্টিক কণা

প্রতীকী ছবি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ | ০৯:৩২
প্লাস্টিক দূষণ বিশ্বে অন্যতম বড় সমস্যা। নানা প্রক্রিয়ায় মানব শরীরে প্রবেশ করছে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা। এই প্রথম জানা গেল, মায়ের গর্ভে শিশুর দেহেও প্লাস্টিক কণা ছড়ায়। প্রতিদিন লাখ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে।
বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় এগুলো গিয়ে মিশছে পানিতে। এতে পানিও দূষিত হচ্ছে। তাই শুধু মানুষই নয়, জলজ প্রাণীও ঝুঁকির মধ্যে আছে। খাদ্য ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে প্লাস্টিক কণা শরীরে প্রবেশ করে। এগুলো নানা রাসায়নিক উপাদান বহন করে এবং তা রক্তকণিকার সঙ্গে মিশে যায়। প্লাস্টিক শরীরে নানা ধরনের ক্ষতি করে। রাসায়নিক উপাদানগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, অন্তত চারজন নারীর দেহে প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে, যারা স্বাভাবিকভাবেই গর্ভধারণ করেন এবং বাচ্চা প্রসব করেন। ভ্রুণ ও মায়ের নাড়ির সঙ্গে এবং শিশুর শরীর গঠনের অবস্থাতেও প্লাস্টিক কণা শনাক্ত হয়েছে। এগুলো মায়েদের খাদ্য অথবা নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করেছে; কিন্তু তা আর ধ্বংস হয়নি। রোমের সান জিওভান্নি ক্যালিপিটা হাসপাতালের গাইনোকলজি বিভাগের পরিচালক অ্যান্টোনিও রাগুসা বলেন, এ গবেষণার তথ্য মায়েদের বিস্মিত করেছে।
গবেষকরা বলেন, গবেষণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক মায়ের নাড়ির মাত্র ৪ শতাংশ পরীক্ষা করা হয়েছে। এতেই অন্তত ১২টি প্লাস্টিক কণা পাওয়া যায়। আরও বেশি পরীক্ষা চালালে এর পরিমাণ অনেক বেড়ে যেত। এগুলো শরীরে প্রবেশ করেছে প্লাস্টিকের প্যাকেট, রং, প্রসাধনী ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহূত পণ্যের মাধ্যমে। সূত্র :দ্য গার্ডিয়ান।
- বিষয় :
- প্লাস্টিক কণা
- শিশুর দেহ