ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভারতে করোনার দুটি টিকার অনুমোদন

ভারতে করোনার দুটি টিকার অনুমোদন

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ | ০২:০৯ | আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ | ০২:১৯

জরুরিভাবে ব্যবহারের জন্য করোনার দুটি টিকার অনুমোদন দিয়েছ ভারত। রোববার দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিসিজিআই) ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ ও সিরাম ইনস্টিটিউটের ‘কোভিশিল্ড’ টিকা দুটির অনুমোদন দিয়েছে।

এর আগে, ভারত সরকার নিয়োজিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই দুটির টিকার অনুমোদন দিতে সুপারিশ করেছিল। খবর এনডিটিভির

টিকার অনুমোদন দেওয়ার পর ডিসিজিআই প্রধান ভিজি সোমানি বলেন, ভারত বায়োটেক ও সিরাম ইনস্টিটিউট উভয় প্রতিষ্ঠান তাদের টিকার ট্রায়ালের তথ্য জমা দেয়। সেই তথ্য পর্যালোচনা করে টিকা দুটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ভিজি সোমানি বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে সামান্যতম উদ্বেগ থাকলেও আমরা কখনও তার অনুমোদন দিই না। অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো শতভাগ নিরাপদ। নিয়ন্ত্রিত জরুরি প্রয়োগের জন্য এই দুটি টিকাকে অনুমোদন দেওয়া হলো।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে বলেছেন, দেশের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এটি। দেশকে কোভিড মুক্ত করতে এই পদক্ষেপ খুব জরুরি ছিল। ধন্যবাদ সব গবেষক ও বিজ্ঞানীকে। 

ভারত বায়োটেক ভারতের হায়দরাবাদভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। দেশীয় পদ্ধতিতে তারা ‘কোভ্যাক্সিন’ নামের টিকা তৈরি করেছে।

সিরাম ইনস্টিটিউট পুনেভিত্তিক প্রতিষ্ঠান। সিরাম ইনস্টিটিউট ‘কোভিশিল্ড’ নামে ভারতে এই টিকা উৎপাদন করেছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা প্রকল্পের অন্যতম অংশীদার তারা। 

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রথম অনুমোদন পায় যুক্তরাজ্যে। অক্সফোর্ডের টিকা পেতে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাক্সিন’ টিকা তিনটি ট্রায়াল ধাপের মধ্যে দুটি সম্পন্ন করেছে। টিকাটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল গত নভেম্বরে শুরু করে ভারত বায়োটেক। এখনো এই ধাপের ট্রায়াল চলছে।

তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালে টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়। ফলে কোভ্যাক্সিন টিকার কার্যকারিতার তথ্যের ঘাটতি থাকা অবস্থাতেই তা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেল।

আরও পড়ুন

×