ট্রাম্পের বিচারের আয়োজন করছেন ডেমোক্র্যাটরা

ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গা-হাঙ্গামার পর হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সী পেলসি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন, ছবি: রয়টার্স
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:৪১ | আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ | ০৯:৪৮
মার্কিন কংগ্রেসে বুধবারের হামলায় ভূমিকা রাখার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংসদীয় বিচারের প্রক্রিয়া শুরু করছে দেশটির ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। অর্থাৎ আরেক দফা অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সী পেলসি বলছেন, ট্রাম্প যদি এ মুহূর্তে পদত্যাগ না করেন, তাহলে তারা বিচারের লক্ষ্যে একটি সাংবিধানিক অনুচ্ছেদ নিয়ে কাজ শুরু করবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘অভ্যুত্থানে উসকানি’ দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি হাউস ডেমোক্র্যাটরা সোমবার দায়ের করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। খবর বিবিসির
তাদের অভিযোগ, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উসকানিতে কংগ্রেসের ভেতরে বুধবার দাঙ্গা-হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এবং মার্কিন রাজনীতিতে একটি কলঙ্কজনক ইতিহাস যোগ হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস। তবে তিনি বহুদিন ধরেই জানতেন ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত নন’।
তবে হোয়াইট হাউস এ বিচার করার উদ্যোগকে নাকচ করে বলেছে, এটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এবং এতে ‘আমাদের শান্তির দেশ আরও বিভক্ত হয়ে পড়বে’।
হাউস অব রিপ্রেজেনেটেটিভে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ১৬০ প্রতিনিধি ইতোমধ্যেই আর্টিকেল অব ইমপিচমেন্ট অর্থাৎ সংসদীয় বিচারের আইনের খসড়াটিতে সই করেছেন।
বুধবার কংগ্রেসে ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে আটকে থাকা অবস্থায় ক্যালিফোর্নিয়ার কংগ্রেসম্যান টেড লিউ এবং রোড আইল্যান্ডের কংগ্রেসম্যান ডেভিড সিসিলিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচারে আইনের খসড়াটি লিখতে শুরু করেন।
উদ্যোগটি যদি সত্যিই কার্যকর হয়, তাহলে এটি হবে ট্রাম্পের বিচারের জন্য হাউস অব রেপ্রেজেনটেটিভের দ্বিতীয় দফা চেষ্টা।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কংগ্রেসের কাজে বাধাদানের অভিযোগে সংসদের নিম্নকক্ষে ট্রাম্পের বিচার করা হয়। কিন্তু পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে সংসদের উচ্চকক্ষ সিনেটে দুটি অভিযোগই খারিজ হয়ে যায়।
একের পর এক ইতিহাসের মালিক ট্রাম্প। মার্কিন ইতিহাসে কোনো প্রেসিডেন্টই দুইবার বিচারের সম্মুখীন হননি। কিন্তু ট্রাম্প সে দিকেই যাচ্ছেন। তবে তার শাস্তির আশঙ্কা কম। কারণ সিনেটে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি বেশ শক্তিশালী।
সিনেটের একজন নরমপন্থী রিপাবলিকান অ্যালাস্কার লিসা মারকোস্কি অ্যাঙ্কোরেজ ডেইলি নিউজ পত্রিকাকে বলেছেন, ট্রাম্পের এখন উচিত হবে কেটে পড়া।
যদি বিচারে দোষী প্রমাণিত হন ট্রাম্প, তাহলে সাবেক প্রেসিডেন্টে হিসেবে তিনি প্রাপ্য বেতন-ভাতাদির কিছুই পাবেন না। এছাড়া তিনি যাতে ভবিষ্যতে কোনো নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন, সিনেটররা সেই প্রস্তাবও অনুমোদন করতে পারেন।