যুক্তরাষ্ট্র পাশে না থাকলেও ইয়েমেনে যুদ্ধ চালাবে সৌদি

ছবি: ইপিএ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ২১:১৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে সৌদি আরবকে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন। এর মাত্র এক দিন পরই যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে গিয়ে নতুন ঘোষণা দিল সৌদি আরব। গত শুক্রবারই সৌদি আরবের উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান ঘোষণা দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা ছাড়াই ইয়েমেনে ইরানসমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে সৌদি আরব। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
এদিকে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যকার পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে মতামত জানিয়েছে ইরান। দেশটি বলছে, হুতিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে সৌদি আরবের পাশে যুক্তরাষ্ট্রের না থাকা কোনো সমাধান বয়ে আনবে না। এর জন্য দরকার আঞ্চলিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ।
রোববার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন। ফলে ইয়েমেন সংকট নিয়ে কার্যত এখন সৌদি আরব ও ইরান পরস্পর মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
সৌদি প্রিন্স খালিদ বিন সালমান বলেন, আমরা ইয়েমেনে চলমান সংকট সমাধানের জন্য আমাদের মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় রয়েছি। সৌদি উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রী উপসাগরীয় উদ্যোগে ইয়েমেনে সমঝোতার জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগকে সমর্থনের বিষয়ে পুনরায় আশ্বস্ত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রথম পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক ওই ভাষণে ইয়েমেনে সৌদি আরবের অভিযানে সহযোগিতা বন্ধের ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন, ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটাতেই হবে। প্রতিশ্রুতি রক্ষার অংশ হিসেবে অস্ত্র বিক্রিসহ ইয়েমেন যুদ্ধে আক্রমণাত্মক অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব সমর্থন বন্ধ ঘোষণা করছি। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির বিরুদ্ধে হাঁটা শুরু করলেন বাইডেন। এ ছাড়া একই সময় ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে সিনিয়র কূটনীতিক টিমোথি লেন্ডারিংয়ের নামও ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ইয়েমেন সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগিতায় হাত বাড়াতে রাজি আছে তারা।